কাতারে নাগরিকত্বসহ সকল সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশিরা
সৌদি জোটের অবরোধের মুখেই বিদেশিদের জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে কাতার। এখন বিদেশিরা চাইলে কাতারের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। দেশটিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরাও সেই সুবিধা পাবেন।
কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানিয়েছে, বুধবার মন্ত্রিপরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। এতে করে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার বিদেশি স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে যাচ্ছেন।
নতুন এই আইনের ফলে যেসব শিশুর মা কাতারের নাগরিক এবং বাবা বিদেশি, তারাও সুবিধার আওতায় আসবেন। শিশুটির বাবা এখন চাইলে দেশটির নাগরিক হতে পারবেন। যারা কাতারে সরকারি চাকরি করছেন, তারাও এখন সেখানকার নাগরিক হয়ে যাবেন।
বার্তা সংস্থার খবর অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যারা নাগরিকত্ব সুবিধা পাবেন, তারা আরও বেশ কিছু সুবিধার আওতায় অাসবেন। দেশটির অন্যান্য নাগরিকদের মতো তারাও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তারাও বিনামূল্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা নিতে পারবেন।
এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে যেকোনো চাকরি করতে পারবেন। নিজেদের ব্যবসার মালিকানা নিজেদের নামেই থাকবে। ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও কাতারের কোনো নাগরিকের অংশীদারিত্ব থাকার প্রয়োজন হবে না।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কাতারেই এ ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা ভাবাই যায় না। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে অাসলেও কয়েক মিলিয়ন লোক সেখানে বিদেশিই থেকে গেছেন।
তেলের দেশ কাতারের জনসংখ্যা দুই দশমিক চার মিলিয়ন; যাদের ৯০ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া লোকজনের সংখ্যাই বেশি। মূলত নির্মাণ শিল্পে কাজের জন্য দেশটিতে যান তারা।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব অামিরাত। মুসলিম ব্রাদারহুডসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন পালনের অভিযোগে দেশগুলো দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে।
কাতারের জন্য আকাশসীমা, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরও বন্ধ করে দেয় উপসাগরীয় এই চারটি দেশ। চলমান সংকটের মধ্যেই কাতার নিজেদের দেশে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত জানাল।