বাড়ছে পানি, ভাসছে মানুষ
অব্যাহত বর্ষণ আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে বেড়েই চলেছে নদীর পানি। বিপদসীমার উপরে উঠে ভাসাতে শুরু করেছে তীরবর্তী এলাকার লাখ লাখ মানুষকে। মাত্র একমাসের ব্যবধানে ফের বন্যাকবলিত হওয়ায় কষ্টের যেন শেষ নেই উত্তরাঞ্চলের বানভাসি মানুষের। ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তা কিংবা বাঁধে অবস্থান করছে অসংখ্য পরিবার। আঞ্চলিক পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র বলছে আগামী কয়েকদিনে পানি আরও বাড়তে পারে।
ইতোমধ্যে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, সিংঙ্গীমারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রেললাইনের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
রোববার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সব (৪৪টি) গেট খুলে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার বাইপাস সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
বন্যার দুর্যোগে সবার ছুটি বাতিল
এদিকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি ছুটিসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে সরকার।
পাহাড়ি ঢল এবং অতি বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় রোববার এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যমান বন্যাপরিস্থিতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা জরুরি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সরকারি ছুটিসহ সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হলো।
‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিস ত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’