টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হতে যাচ্ছে ফ্রি ওয়াই-ফাই
টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হতে যাচ্ছে ফ্রী ওয়াই ফাই। ২০১৮ সালের শরৎকাল থেকে ব্রিকলেন, ওয়াটনী মার্কেট এবং ক্রিপসস্ট্রীট এলাকায় প্রথম ধাপে এই ফ্রি ওয়াই- ফাই চালুর জন্য বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস সম্প্রতি কেবিনেট মিটিংয়ে ১.৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছেন।
উল্লেখিত ৩টি এলাকায় ফ্রি ওয়াই ফাই চালু হলে এসব এলাকার ৮শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সেন্টার থেকে ৮শ মিটার দূরত্বের মধ্যে সোশাল হাউজিংয়ে বসবাসকারী ১শ ৩০ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন। কেবিনেটে ফ্রি ওয়াই- ফাই এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে মেয়র জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বর্তমান সময়ে নানা কারনে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কিন্তু দূচ্ঞখজনক হলেও সত্যি আর্থিক কারনে অনেকেই এর সুফল থেকে বঞ্চিত।
আমাদের এই উদ্যোগ যারা আর্থিক কারনে ওয়াই- ফাই ব্যবহার করতে পারেন না তাদেরকে সুফল দিবে।
মেয়র বলেন, আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসের দরিদ্র বাসিন্দাদেরকে ডিজিটাল প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত করতে চাই। এটি একটি সামাজিক বৈষম্য।
এই বৈষম্য অবসানের জন্যই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। মেয়র জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা যাতে ফ্রি ওয়াই- ফাই ব্যবহার করতে পারেন এজন্য তাদেরকে ফ্রি ট্রেনিংও দেয়া হবে। এছাড়া ইন্টারনেট প্রোভাইডার এবং সোশাল হাউজিং এসোসিয়েশনগুলোর সাথেও আমরা কাজ করবো। আগামী অক্টোবর থেকে আইডিয়া স্টোরগুলোতে এই ট্রেনিং চালু হবে। ট্রেনিং গ্রহনকারীকে ইন্টারনেটে প্রবেশের জন্য ওয়াই- ফাই সেট আপ, অনলাইনে বিল পরিশোধ, বিভিন্ন দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের সাথে ভিডিও ফোন কল, সন্তানদের হোমওয়ার্কে সহযোগিতা এবং চাকুরী ও ট্রেনিং কিভাবে খোঁজ করতে হয় এব্যাপারে শিক্ষা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, কাউন্সিলের হিসাব মতে টাওয়ার হ্যামলেটসের ২৪% বাসিন্দা নিম্ন আয়ের কারনে ওয়াই- ফাই ব্যবহার করতে পারেন না। এছাড়া ৫০ বছরের বেশী বয়সী ৪৫% এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ৪০% বাসিন্দার কোন ওয়াই- ফাই নাই। লন্ডনে ওয়াই- ফাই ব্যবহার করতে হলে মাসে গড়ে ১৮ পাউন্ড এর প্রয়োজন হয়, যা অনেকের জন্যই কষ্টকর। লাইম হাউজের বাসিন্দা মার্ক লুইস এর বয়স ৫০। তিনি এব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আর্থিক কারনে আমি ওয়াই- ফাই ব্যবহার করতে পারিনা। এটি চালু হলে আমি বিভিন্নভাবে উপকৃত হবো।
বর্তমানে ওয়াই- ফাইর জন্য আমাকে এক ঘন্টার দূরত্বের লাইব্রেরীতে যেতে হয়। ডাটা না থাকার কারনে জরুরী প্রয়োজনেও আমি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি না। এটি চালু হলে আমার জীবন ধারা পাব্বে দেবে। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন স্ট্রিট লাইট এবং সিসিটিভির খুঁটিতে ওয়াই- ফাই রিসিভার বসানো হবে।