কিভাবে চিনবেন দেশি গরু

Cowকোরবানিতে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। অনেকে পশুর হাটে তন্ন তন্ন করে দেশি গরু খোঁজেন। দেশি গরু ভেবে বিদেশি গরু কিনে অনেকে প্রতারিতও হন। এজন্য ক্রেতাদের দেশি গরু চেনার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কিভাবে চিনবেন দেশি গরু; এটা নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই।
পশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশি পশুর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা ছোট ও মাঝারি আকৃতির। এছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশি পশু এক রঙের হয়। এদের পা চিকন ও শিং বড় হয়। এসবের বাইরেও পশু বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতামত নিয়ে কোরবানি দেয়ার জন্য দেশি গরু কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে এবার ২২টি অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসছে। এর বাইরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের কলেবর বাড়বে। পশু ব্যবসায়ীদের মতে, অস্থায়ী হাটগুলোতে বেশিরভাগ দেশি গরু আসে। আর গাবতলী হাটে বিদেশি গরুর আধিক্য থাকে বেশি। এজন্য দেশি গরু যারা কিনতে চান, অস্থায়ী হাট থেকে কিনলে তাদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। দেশি গরুর মাংসের স্বাদও বিদেশি গরুর চেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা মন্টু বলেন, দেশি গরু চেনা খুব সহজ। আকার-আকৃতি বিদেশি গরুর তুলনায় অনেক ছোট। বিশাল আকৃতির গরুগুলো সাধারণত বিদেশি। গরুগুলোর শিং ছোট হয়। অন্যদিকে দেশি গরুর শিং বড় আর পায়ের দিকে মাংস কম থাকে। পা চিকন হয়।
পশু বিশেষজ্ঞ রবিউল আলম বলেন, দেশি গরুর আকার-আকৃতি ছোট। কলকাতা, আসাম, ত্রিপুরা এলাকার গরুও একই আকৃতির। এসব পশুর মাংসের স্বাদও একই ধরনের। এ কারণে এসব এলাকার গরু ও দেশি গরু আলাদা করা সম্ভব হয় না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. আজমত আলী বলেন, দেশি গরুর আকার-আকৃতি ছোট ও মাঝারি ধরনের হয়। পা চিকন হয়, শিং লম্বা হয়, গরুগুলোর রং একই ধরনের হয়ে থাকে। আর দেশি গরু জবাইয়ের পর চর্বির রং হয় হলুদ, বিদেশি জাতের গরুর চর্বির রং সাদা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button