ব্রিটেনে সম্প্রচার বন্ধ করেছে ফক্স নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফক্স নিউজ ব্রিটেনে দেখানো হত ইউরোপভিত্তিক খবর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্কাই নিউজের মাধ্যমে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় স্কাই নেটওয়ার্ক যুক্তরাজ্যে ফক্সের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।
সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্সের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, ফক্স নিউজ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নজর দিচ্ছে এবং এর অনুষ্ঠানসূচি সাজানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে। পুরো ব্রিটেনে প্রতিদিন মাত্র কয়েক হাজার দর্শক রয়েছে ফক্সের।
আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, ব্রিটেনে ফক্স নিউজ চ্যানেলের সম্প্রচার চালিয়ে যাওয়া বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে না।
এক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, স্কাই কিনে নিতে ফক্সের প্রস্তাব আটকে যাওয়ার সঙ্গে সম্প্রচার বন্ধের এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই।
টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স গত ডিসেম্বরে ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ডে স্কাই নিউজ এজেন্সির ৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
এ কোম্পানির ৩৯ শতাংশ শেয়ার আগে থেকেই ফক্সের হাতে রয়েছে। বাকি শেয়ার কিনে নিতে পারলে ইউরোপজুড়ে বিস্তৃত স্কাইয়ের উপর ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করতে পারত ফক্স।আর সেক্ষেত্রে দুই মহাদেশজুড়ে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপরীতে রুপার্ট মারডকের অবস্থান আরও শক্তিশালী হত।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী কারেন ব্র্যাডলি গত মার্চে জানান, যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম এবং প্রতিযোগিতা ও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএমএকে স্কাই-ফক্স চুক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে।তারপরই ওই চুক্তির আলোচনা আটকে যায়।
এর আগে ২০১১ সালেও ফক্স একইরকম প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর ফোন হ্যাক ও সরকারি তদন্তে ফক্স নিয়ন্ত্রণাধীন নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের হস্তক্ষেপের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সে সময়ও প্রস্তাবটি ধোপে টেকেনি।
রুপার্ট মারডক ২০১৩ সালে তার কোম্পানিকে দুই ভাগ করার পর থেকে টেলিভিশন ও বিনোদন ব্যবসা দেখভাল করছে টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স। অন্যদিকে পত্রিকা ও প্রকাশনা ব্যবসা রয়েছে নিউজ করপোরেশনের হাতে।
এর মধ্যে রুপার্ট মারডক ও তার বড় ছেলে লাকলেম টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে জেমস মারডক আছেন ফক্সের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে।