শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে শনিবার বাংলাদেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন শামছুদ্দিন ভূঁইয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি হিবজুর রহমান। এটি ছিল ময়দানটিতে ১৯০তম ঈদ জামাত।
নামাজ শেষে মিয়ানমারের মুসলমানদের রক্ষা ও তাদের হেফাজত করাসহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা এবং দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদুল আজহার এই জামাত অনুষ্ঠানের জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিন প্লাটুন বিজিবিসহ র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়। মুসুল্লিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেয়া হয়।
জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তেু নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
জানা যায়, কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়ার এই ময়দানে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।