রোহিঙ্গাদের ১৭৬টি গ্রাম মানুষ শূন্য
মিয়ানমারের মুসলিম ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১৭৬টি গ্রাম এখন জনশূন্য বলে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র। এর বাইরে আরও ৩৪টি গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে সেখানকার অধিবাসীরা।
রাখাইনে তিনটি টাউনশিপে রোহিঙ্গাদের জন্য সর্বমোট ৪৭১টি গ্রাম রয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতার পর থেকে সেখানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অকপটে স্বীকার করে নেন জো তেই নামের ওই মুখপাত্র।
বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে বহু দশক ধরেই নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা। জো তেই অবশ্য রোহিঙ্গা নামটি উচ্চারণ করেননি। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাঙালি অভিবাসী বলে দাবি করা হয়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তবে কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
জো তেই বলেন, মিয়ানমার পালিয়ে যাওয়া সব রোহিঙ্গার ফিরে আসা অনুমোদন করবে না। আমরা তাদের যাচাই করবো। যাচাইয়ের পরই কেবলমাত্র তাদের আমরা গ্রহণ করতে পারি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর বহুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।