সিরিজ জিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরল পাকিস্তান
ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব একাদশকে ৩৩ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পাশাপাশি ট্রফি জয়ের আনন্দটাও উপভোগ করল সরফরাজ আহমেদের দল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে বোমা হামলার পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক রকম নিষিদ্ধই ছিল।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৮ উইকেটে ১৫০ রানে থামে বিশ্ব একাদশের ইনিংস। পার্সটুডে এ খবর দিয়েছে।
১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্ব একাদশের ওপেনার তামিম ইকবাল শুরুটা করেছিলেন দারুণ। ইমাদ ওয়াসিমের করা প্রথম ওভারে তিনটি চারে স্কোর বোর্ডে ১৩ রান যোগ করেন। কিন্তু পরের ওভারেই উসমান খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি। আরেক ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাও ঝড়ো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১২ বলে ৩ চারে ২১ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। রান আউটে কাটা পড়েন বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও (১৩)।
৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও থিসারা পেরেরা ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল বিশ্ব একাদশ। ১৩তম ওভারে শাদাব খানকে পেরেরা পর পর তিন বলে তিনটি ছয় হাকান। চতুর্থ বলে মারের চার। মোট ২৪ রান আসে সেই ওভারেই। কিন্তু আগের ম্যাচের জয়ের অন্যতম নায়ক পেরেরা ঝড় থামান রুম্মান রাইস। ১৩ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে ৩২ রান করে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর আশা হয়েছিলেন মিলার ও ড্যারেন সামি। কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষে বলে মিলার ফিরতেই বিশ্ব একাদশের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। মিলার হাসান আলীর বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। ২৯ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ৩২ রান করেন তিনি। সামি শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। এছাড়া, ইমাদ ওয়াসিম, উসমান খান ও রুম্মান রাইস ১টি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ সেহজাদ। শেষ দিকে রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫৫ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো এক ইনংস খেলেন এই ওপেনার। ৮টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ফকর জামানকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৬১ রান। ৮.২ ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েছিলেন ফকরও। ২৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এরপর সেহজাদ ও বাবর আজমের ১০২ রানের জুটি। বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান। ৩১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার। শেষ দিকে ৭ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শোয়েব মালিক।
বিশ্ব একাদশের হয়ে থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ দুই উইকেটে নিয়েছেন। ৫৫ বলে ৮৯ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন আহমেদ শেহজাদ। আর তিন ম্যাচে ১৬৮ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন বাবর আজম।