রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানেও পাশে থাকবে ব্রিটেন
শুধু মানবিক সহায়তা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানেও পাশে থাকবে যুক্তরাজ্য। এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক। এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া আড়াই কোটি পাউন্ড সহায়তার কথাও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন হাইকমিশনার।
মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া বিবৃতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছে যুক্তরাজ্য ও সুইডেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ফোরামে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও এ বিষয়ে সক্রিয় থাকবেন নিউইয়র্কে। তিনি বৈঠক করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গেও।
ব্লেক বলেন, একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজতে হবে, যার অর্থ হলো আনান কমিশন বাস্তবায়নে সমর্থন জানানো, আর এটি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের সরকার সম্মতি জানিয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মিশনেও সমর্থন থাকবে, কারণ আমি জানতে চাই আসলে কী ঘটেছে। নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানের জন্য এটা জরুরি।
ব্লেক জানান, কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি শুনেছেন। এ সময় ঢাকায় যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) প্রধান জেইন অ্যাডমনডসন তাদের ত্রাণ তৎপরতার বিবরণ দেন।
ব্লেক বলেন, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে, নিঃস্ব-অবস্থায়, নিরাপত্তা ও অধিকার পাওয়ার শর্তে তাদের ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকা উচিত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্লেক বলেন, দীর্ঘমেয়াদে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং শান্তি ও সমাধানে আসতেই হবে।