গাড়ি চালাতে পারবেন সৌদি নারীরা
গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালাতে আর কোনো বাধা নেই।
মঙ্গলবার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ সংক্রান্ত একটি ফরমান জারি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় আগামী এক মাসের মধ্যেই এর সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে এবং ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে এই আদেশ বাস্তবায়ন হবে।
বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরব একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দেশটির অধিকার সংগঠনগুলো বছরের পর বছর নারীদের গাড়ি চালানোর পক্ষে অনুমোদন আদায়ের জন্য কাজ করেছে। এমনকি আইন অমান্য করায় কিছু নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে।
এসপি আরো জানিয়েছে, নারী-পুরুষের ড্রাইভিং লাইন্সেস প্রদানসহ রাজকীয় এই ফরমান ট্রাফিক আইনের আওতায় বাস্তবায়ন হবে।
এদিকে, সৌদি সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপকে তারা মহৎ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নারীদের গাড়ির চালানোর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করায় লুজাইন আল হাটলুয়াল নামের সৌদি কর্মীকে ৭৩দিন আটক থাকতে হয়েছে। সৌদি সরকারের এমন ঘোষণার পর সেই লুজাইন ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ’ জানিয়ে টুইট করেছেন।
নারীদের গাড়ি চালানোর পক্ষে ক্যাম্পেইনের অন্যতম সংগঠক মানাল আল শরীফ। তাঁকেও আইন অমান্য করে গাড়ি চালানোর দায়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, সৌদি আরব একই কাজ আর কখনোই করবে না।
সৌদি সরকারের এমন ঘোষণার পর জেদ্দায় সাহার নাসিফ নামের এক কর্মী বিবিসিকে বলেন, তিনি খুবই উদ্দীপিত। তিনি হাসছেন এবং লাফালাফি করছেন। নাসিফ বলেন, আমি আমার স্বপ্নের কার কিনতে যাচ্ছি।