লন্ডনে আইফোনের জন্যে বাঙালী চ্যারিটি ওয়ার্কার খুন
মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানের লন্ডনে আবারো ছুরিকাঘাতে দুই তরুনের প্রাণ গেল। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশী অরিজিন। আই ফোন সেভেনের কারণে ছুরিকাঘাতে প্রান দিতে হয়েছে চ্যারিটি ওয়ার্কার ও বৃটিশ বাঙালী তরুন আব্দুল সামাদকে। তার বয়স ২৮ বছর। ড্রাগনহীল ট্রাস্ট নামে একটি চ্যারিটি সংস্থায় কাজ করতেন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ আব্দুল সামাদ। তিনি পেডিংটনের লিটল ভেনিসে সেন্ট মেরিস টেরেসে বসবাস করতেন। যে বিল্ডিংয়ে তিনি বসবাস করতেন সেই বিল্ডিংয়ের সামনেই সোমবার রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর রাত ১টার দিকে পেডিংটনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। আব্দুল সামাদ ওয়েস্ট মিনস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েট ছিলেন।
নিহত আব্দুল সামাদের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, আব্দুল সামাদ তখন কাজ থেকে ফিরছিলেন। বিল্ডিংয়ের সামনে আসার পর হাতে থাকা আইফোন সেভেন টার্গেট করে একদল মোটরবাইক আরোহী ছিনতাইকারী তার উপর ছুরি দিয়ে হামলা করে। ছুরিকাহত সামাদ রক্তাক্ত হাতে নিজের ঘরে রিং বাজিয়ে সাহায্য চান। এ সময় তার মা-বাবা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে পান। এরপর পুলিশ এবং এম্বুলেন্স এসে তাকে সেন্ট মেরিস হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই হাসপাতালেই আব্দুল সামাদ জন্মগ্রহন করেন। রাত প্রায় ১ টার দিকে হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন তিনি। তার বুকি ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।
শোকাহত আব্দুল আহাদ আরো জানান, একদল মোটরবাইক আরোহীকে দিনরাত তাদের বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় অকারনে মোটরবাইক চালাতে দেখা যায়। এই গ্রুপটি আব্দুল সামাদের হাত থেকে তার আইফোন সেভেন ছিনতাইয়ের চেস্টার তাকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আব্দুল সামাদকে হত্যার অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়েস্ট লন্ডনের পারসন্সগ্রীন টিউব স্টেশনে অপর ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২০ বছরের আরেক তরুন খুন হন। বিস্তারিত পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।