ব্রিটেনে মন্ত্রী-এমপিদের নারী কেলেঙ্কারি
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে উদ্বেগে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। নারীদের প্রতি হেনস্তার এ অভিযোগ ফাঁসের পর তেরেসা সরকারের পতন হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এমপিদের মধ্যে। পার্লামেন্ট নেতা এবং ব্রিটেনের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড্রি লিডসাম, পার্লামেন্টের ছায়ানেতা ভ্যালেরি ভাজ, এমপি হ্যারিয়েত হারম্যান, আন্না সাউব্রে ও স্টেলা ক্রিসির মতো নারী এমপিরা পুরো বিতর্কজুড়ে সরব ছিলেন। খবর ইন্ডিপেনডেন্টের। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের ৩৬ এমপির নামের তালিকা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, এসব এমপির কাছে আসা নতুন গবেষণা কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনা হতভম্ব ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নারী এমপিরা। লিডসাম বলেন, ‘আজ হোক আগামী সপ্তাহে হোক এসব অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া হবে।’
হারম্যান বলেন, ‘নারী কেলেঙ্কারির এ অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমন কোনো নারীকর্মী নেই যারা পুরুষদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হননি। এমনকি মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে বাইরে থেকে যেসব নারী সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তারাও কোনো না কোনোভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।’ গবেষণা কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে জানান হারম্যান। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রীসহ ৩৬ এমপির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তেরেসা সরকারের পতনের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর পেছনে কোনো ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের হাত আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ওয়েস্টমিনস্টারের পর্যবেক্ষকরা এখন এর পেছনে সম্ভাব্য কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খুঁজে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্রিটেনের ৩৬ এমপি অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দলের ১১ শতাংশ এমপির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির এ অভিযোগে তেরেসা সরকারের পতন ঘটতে পারে।