খালাফ হত্যা মামলায় সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল
সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে দেয়া সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকন। হাইকোর্টের রায়ে এই তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এছাড়া পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদকে হাইকোর্টের দেয়া বেকসুর খালাসের রায়ও বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
খালাফ হত্যা মামলায় নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সডকের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর কিছুদিন পর রাজধানীর দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমীন নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাই প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি পয়েন্ট ২২ বোরের রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওই বছরের ৪ জুন তাদের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা করা হয়। আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন ও আল আমীন আদালতে স্বীকার করেন, ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা দেয়ায় তারা সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে এ অস্ত্রটি দিয়েই গুলি করে হত্যা করেন। পরে আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন।