ছেলেসহ শিল্পপতি রাগীব আলীর মুক্তি
সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি মামলায় দণ্ডিত আলোচিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাই সিলেট কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তাদের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল উচ্চ আদালতে খারিজ হওয়ায় জামিন আদেশ বহাল থাকে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বাধীন বিচারপতি ইমান আলী, বিচাপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজের আদেশ দেন।
রাগীব আলীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, ব্যারিস্টার ইয়াদাজামান, অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ ও ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল দিলুরুজ্জামান।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সিলেটের তারাপুর চা-বাগান ইজারার ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির বিষয়ে দায়ের করা মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো ৪৬৬ ধারায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ৪৬৮ ধারায় সমপরিমাণ সাজা দেন।
এ ছাড়া ৪২০ ও ৪৭১ ধারায় এক বছর করে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তাদের। পৃথক চারটি ধারায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইকে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ ফেব্রুয়ারি দণ্ডপ্রাপ্তরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আপিলে তাঁরা জামিন চাইলে ২৪ মে সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ আদালতে তা নামঞ্জুর করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে তাঁরা আবেদন করেন।