অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে ইসরাইলকে
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনের দখলকৃত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে ইসরাইলকে। যুক্তরাজ্য সফররত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ কথা বলেন মে। বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের বরাত দিয়ে আরব নিউজের খবরে বলা হয়, ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণার (যা ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রসদ জুগিয়েছে) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের বিষয়ে বক্তব্য দেন মে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য (দুই রাষ্ট্র) বাস্তবে রূপ দিতে হলে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে, নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের তরফ থেকেও উসকানি ছড়ানো যাবে না, বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মে। ওই সময় নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমি শান্তির প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বেলফোরের ১০০ বছর পর ফিলিস্তিনিদের উচিত চূড়ান্তভাবে ইহুদিদের জাতীয় বসতি ও ইহুদি রাষ্ট্রকে মেনে নেয়া। যখনই তারা সেটা করবে, শান্তির রাস্তা অবারিত হয়ে যাবে।
অপর এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হলে উত্তর কোরিয়ার চেয়েও বিপজ্জনক রাষ্ট্র হবে ইরান। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক নীতি নির্ধারণী গবেষণাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান (থিংক ট্যাংক) চ্যাটহ্যাম হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেন।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, বক্তব্যে লেবাননে শিয়াদের সংগঠন হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী ও ইরাকে শিয়া মিলিশিয়াদের ইরান কীভাবে সাহায্য করছে, সেদিকে ইঙ্গিত করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদী ইসলামের শক্তিশালী একটি অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইরান এবং এটি একটি একটি করে দেশ গ্রাস করছে। দেশটি সরাসরি সংঘাত কিংবা অন্যের হয়ে যুদ্ধ করে এমনটি করছে। ‘অযৌক্তিক ও বিপজ্জনক’ ইরানকে প্রতিরোধে তাঁর দেশের সঙ্গে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব রাষ্ট্রগুলোর ‘নতুন জোট’ হয়েছে। বেশির ভাগ আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে নেতানিয়াহুর ভাষ্য হলো, ইরানের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আরবদের সঙ্গে ইসরাইলের সখ্য ক্রমশ বাড়ছে। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।