প্যারাডাইস পেপার্সে এবার প্রিন্স চার্লসের নাম
প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারিতে এবার ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসের নাম এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি পরিবর্তনের জন্য তিনি লবিং করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পেপার্সের নথিতে দেখা গেছে, তিনি বারমুডার কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রিন্স চার্লস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে কেলেঙ্কারিতে সাত শীর্ষ রিপাবলিকানের নাম আছে যারা গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে বিপুল অর্থ প্রদান করেছিলেন।
জানা গেছে, ডাচেস অব কর্নওয়েল ২০০৭ সালে একটি বারমুডা কোম্পানিতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫শ’ ডলারের শেয়ার কিনেছিলেন। তিনি এই অর্থ পেয়েছিলেন জলবায়ু পরিবর্তনের নীতি পরিবর্তনের জন্য। সাস্টেনেইবল ফরেস্ট্রি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন প্রিন্স চার্লসের বন্ধু। প্রিন্স চার্লস জানিয়েছেন, ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগে তার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। হাউস মুখপাত্র জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রিন্স চার্লসের মনোভাব সবারই জানা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেন এবং এ নিয়ে কাজও করছেন। সাতজন রিপাবলিকানের নাম এসেছে কেলেঙ্কারিতে। এরা গত নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন। ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ওয়ারেন স্টিফেনস, চার্লস অ্যান্ড ডেভিস কোচ, শেলডন অ্যাডেলসন, জিওফ পালমার, স্টিভ উয়েন এবং পল সিঙ্গার।
কর ফাঁকিবাজদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর তহবিল হ্রাস করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগী দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে ফ্রান্স। প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারি নিয়ে এই আহবান জানান ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লি মেয়ার। গতকাল ইইউভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফরাসি অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স হ্যাভেনসদের কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত। যারা কর প্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা করে না তাদের ওপর অবরোধ আরোপ করা উচিত। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ কর সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান করে না তাদের তহবিল কাটছাট করবে।