আবুধাবিতে যাত্রা শুরু ল্যুভর জাদুঘরের
নির্মাণ শুরুর এক দশকেরও বেশি সময় পর আবুধাবিতে বুধবার চালু হয়েছে বিশ্বখ্যাত ‘ল্যুভর জাদুঘর’। আরব বিশ্বে এটির প্রথম যাত্রা শুরু।
এক দশক আগে ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘দ্য ল্যুভর আবুধাবি’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ৩০ বছর মেয়াদি ওই অংশীদারি চুক্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ১১০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়। শুধু ল্যুভর ব্র্যান্ড নাম ব্যবহারের জন্য দিতে হবে ৫০ কোটি ডলারের বেশি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মরক্কোর বাদশাহ ষোড়শ মোহাম্মদসহ আরও অনেক নেতা।
পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি স্থপতি জঁ ন্যুভেল জাদুঘরটির নকশা তৈরি করেন। সমসাময়িক বিশেষজ্ঞরা একে আরব-মদিনা বলে মন্তব্য করেছেন। সাদা গ্যালারিতে রুপালি রঙের গম্বুজে আনা হয়েছে আরব ঐতিহ্য। স্থপতি একে বর্ণনা করেছেন ‘আলোকের বর্ষণ’ বলে। নিচে পৌঁছার সময় প্রতিটি আলোক রশ্মিকে অবশ্যই আটটি স্তর পেরোতে হয়। এটা অব্যাহতভাবে ধরন বদলাতে থাকে। এতে ছায়া পড়ে খেজুর গাছের। ঐতিহ্যগত আরব বাজারের আদলে এটি তৈরি।
সাদিয়াত আইল্যান্ডে যে তিনটি জাদুঘর চালু হবে তার প্রথমটি হল ল্যুভর আবুধাবি। জাদুঘরের প্রায় ৫ ভাগ শনিবার থেকে দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হবে। এতে স্থান পেয়েছে সমকালীন ও আধুনিক চিত্রকর্ম। চীনের আই ওয়েওয়ের একটি খ্যাতনামা চিত্রকর্মও এতে রয়েছে।
এ জাদুঘরের প্রধান লক্ষ্য বিশ্বের ইতিহাস ও ধর্ম। এতে স্থান পেয়েছে ষষ্ঠ শতাব্দীর কোরআন, গোথিক বাইবেল ও ইয়েমেনি তোরা। তিনটি ধর্মগ্রন্থ থাকবে মুখোমুখি যাতে অভিন্ন বার্তা রয়েছে। ল্যুভর আবুধাবিতে স্থাপ পেয়েছে ২৩৫টি চিত্রকর্ম। চিত্রকর্মগুলোকে আবহাওয়া উপযোগী করে সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।