কাশ্মীরী সংগ্রামের প্রতি ওআইসির পূর্ণ সমর্থন
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র মহাসচিব ড. ইউসাফ বিন আহমদ আল-উসামিন কাশ্মীরী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার লাভের সংগ্রামের প্রতি সংস্থার পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।
পাকিস্তান কনস্যুলেটের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার জেদ্দায় যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনার এবং ছবি প্রদর্শনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মহাসচিব কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কনসাল জেনারেল শাহরিয়ার আকবর খান বলেন, ১৯৪৭ সালে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অবৈধ অনুপ্রবেশের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে কাশ্মীরী জনগণকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
‘কাশ্মীরী জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি’ সৈয়দ ফয়েজ নকশবন্দী শ্রোতাদের ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অবগত করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ওআইসিকে কাশ্মীরীদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে সৌদি আরবে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত খান হাশেম বিন সিদ্দিক কাশ্মীরী জনগণের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার জন্য ওআইসি এবং সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি ভারতের দখলদারিত্বে কাশ্মীরে জনগণের দুর্দশা তুলে ধরে ভারত যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে বাধ্য হয় সে উদ্যোগ গ্রহণ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাশ্মীরী জনগণকে তাদের ঐতিহাসিক সংগ্রামে পাকিস্তান নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে।
কাশ্মীর কমিটি জেদ্দার সদস্যরা একটি প্রস্তাব পেশ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে প্রয়াস দ্বিগুণ করার জন্য ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান।
গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত ভিত্তিতে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ছবি প্রদর্শনী ও সেমিনার হচ্ছে।
এবারের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল-আলিম, ওআইসি মহাসচিবের জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি, সৌদি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পাকিস্তান কনস্যুলেট চলতি বছর কাশ্মীর কালো দিবস উপলক্ষেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।