যুদ্ধের পেছনে আমেরিকার ব্যয় ৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার!

২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধের পেছনে আমেরিকা খরচ করেছে ৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন যুদ্ধ-ব্যয়ের বিষয়ে যে দাবি করে থাকে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের এ হিসাব তার চেয়ে অনেক বেশি।
চলতি বছরের প্রথম দিকে পেন্টাগন বলেছিল, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত তারা ১.৫ ট্রিলিয়ান ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু ব্রাউন ইউনিভারসিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বলছে, এ সময়ে আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ৫.৬ ট্রিলয়ন ডলার।
এ হিসাব অনুসারে প্রতিটি মার্কিন নাগরিককে এ পর্যন্ত যুদ্ধের জন্য ২৩ হাজার ডলার করে দিতে হয়েছে। এসব অর্থ তারা সরকারকে ট্যাক্স হিসেবে দিয়েছে।
এ গবেষণায় শুধু মার্কিন সামরিক বাহিনী পক্ষ থেকে খরচ করা অর্থ আমলে নেয়া হয়নি বরং সাবেক সেনা বিষয়ক বিভাগ, হোম্যলান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের জন্য যেসব সম্পদ নিযুক্ত করা হয়েছে সেসবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এসব ব্যয় মেটাতে গিয়ে মার্কিন সরকারকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ঋণ নিতে হয়েছে। আর এসব অর্থের বেশিরভাগ ব্যয় হয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে।
মুসলমানদের লক্ষ্য করে কথিত সন্ত্রাসবাদ যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।
দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের দাবি, গত ১৭ বছরে এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ১.৫ ট্রিলিয়ন (দেড় লাখ কোটি) ডলার খরচ করতে হয়েছে।
কিন্তু এ যুদ্ধে আফগানিস্তান-ইরাকের মতো মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা এবং লাখ লাখ মুসলমানের মৃত্যু ছাড়া আর তেমন কোনো সাফল্যই অর্জন করতে পারেনি দেশটি।
এর ফলে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের পেছনে মার্কিন জনগণের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা নিয়ে দেশটিতে বড়সর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সাফল্যহীন অনর্থক যুদ্ধের ব্যয় নিয়ে জনগণের সমালোচনা সামলাতে খরচের অংক কয়েক গুণ কমিয়ে দেখাচ্ছে পেন্টাগন।
সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে যুদ্ধ ব্যয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুকোচুরির বিষয়টি জানা যায়।
ব্রাউন ইউনিভারসিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এ গবেষণায় বলা হয়, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে।
তাদের হিসাবে, গত ১৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ব্যয় যোগান দিতে প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে ২৩ হাজার ডলার করে ট্যাক্স হিসেবে দিতে হয়েছে।
এ গবেষণায় শুধু মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে খরচ করা অর্থ আমলে নেয়া হয় নি। বরং সাবেক সেনা বিষয়ক বিভাগ, হোম্যলান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের জন্য যেসব সম্পদ নিযুক্ত করা হয়েছে সেসবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এসব ব্যয় মেটাতে গিয়ে মার্কিন সরকারকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ঋণ নিতে হয়েছে। আর এসব অর্থের বেশিরভাগ ব্যয় হয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button