হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করলেন তিন জার্মান সাংবাদিক
জার্মান ভিত্তিক চ্যানেল DW এর সেন্ড্রা পেটার্সম্যান, হেন্স ক্রিস্টিয়ান ওস্টারম্যান ও ফেলোরিয়ান ম্যাটেক নামের তিনজন সাংবাদিক শনিবার সকাল দশটায় হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন। তাদের সাথে দুভাষী হিসেবে ছিলেন, সাংবাদিক যুবায়ের আহমদ ও নাজিম উদ্দিন শ্যামল।
অতিথি সাংবাদিকগণ প্রথমে দারুল উলূম হাটহাজারীর সহকারী মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনাগরীর সাথে সাক্ষাত করে তার সাক্ষাৎকার নেন। এরপর তারা জামেয়ার সহ শিক্ষাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানীর সাক্ষাৎকার নেন।
হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন নৃশংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এবং এ দেশের মানুষ ও আলেম-উলামার প্রতি বিরূপ ধারণা ছিলো। মাওলানা আনাস মাদানি এসব প্রশ্নের সন্তুষজনক জবাব দেন।
পরে তারা মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল থেকেও সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার নেন।
জামেয়া পরিদর্শন শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বলেন, মুসলমান, মাদরাসা ও আলেম উলামার ব্যাপারে আমাদের নেগেটিভ ধারণা ছিলো। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা এই ধারণা পেয়েছি। বিষয়টির বাস্তবতা ও সামঞ্জস্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সুদূর জার্মানি থেকে আমরা বিভিন্ন মুসলিম দেশে যেতে শুরু করি।
এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত, দুবাই, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানান, সিরিয়া, মিশর ঘুরে আমরা ইন্ডিয়ার দারুল উলূম দেওবন্দে যাই।
দারুল উলুম দেওবন্দে গিয়ে আমরা যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছি এবং তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। তাদের কালচার আমাদের খুব ভালো লেগেছে। কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন তাদের মুখপাত্র মেম সেন্ড্রা পেটার্সম্যান।
তিনি আরো বলেন, দারুল উলূমের পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করায় সেখান থেকে একটি ওড়নাও কিনেছি। আপনারা যা আমার মাথায় দেখতে পাচ্ছেন।
তারপর আমরা বাংলাদেশের এই হাটহাজারী মাদরাসায় এলাম। এখানেও আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের মতো অবিকল পরিবেশ ও চাল-চলন দেখতে পাচ্ছি। এখানে এসে আপনাদের সাথে কথা বলায় আপনাদের দেশ, মুসলমান ও আলেম-উলামা সম্পর্কে আমাদের ধারণা পাল্টে গেছে।
আমরা মিডিয়ায় যে সব নেগেটিভ ধারণা পেয়েছিলাম তা বাস্তবে যাচাই করতে এসে দেখলাম এসবের সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই। আপনাদের দেখে আমাদের ভালো লেগেছে।
এখানাকার পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমাদের সময় দেয়ার জন্যে আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। -ইশতিয়াক সিদ্দিকী, হাটহাজারী থেকে