অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ এরদোগানের
তুরস্কের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে খুব শিগগিরই সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সোমবার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে তুরস্কের আর্থিক বন্ড। ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ঊর্ধ্বমুখী বাজারের তুলনায় গেজের মূল্যমান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তবে, এই সমস্যাগুলো তুরস্ক অবশ্যই কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রতারণা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে তারা ক্রমাগতভাবে তুরস্কের ওপর নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অতিরিক্ত রিটার্ন বিনিয়োগকারীদের চাহিদা হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় দেশের সম্পদ ক্রয় করা; যাতে রাজনৈতিকভাবে সঙ্কটাপন্ন ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকোর প্রিমিয়ারকে ছাড়িয়ে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হার নীতিমালায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের মন্তব্যের পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ব্যবধান আরো বিস্তৃত হয়েছে। আর্থিক সিদ্ধান্তে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে দেশটিতে উদ্বেগ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।
গত সোমবার দেশটির বন্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে যা ১০ বছরের ঋণের বেঞ্চমার্কের দিকে টেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে, গত বছরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো ‘বোরসা ইস্তাম্বুলের’ ১০০ সূচকের খতিয়ান চার দিনের ক্ষতির পর স্থানীয় মুদ্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
সোমবারের এই পতন অবস্থায় এরদোগানের মন্তব্য কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসাবে দেখা দিয়েছে তা জোর দিয়ে দেখা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক অশান্তি যোগ হওয়ায় ইতোমধ্যেই বাজার ব্যবস্থাকে আরো ঘোলাটে করে দিয়েছে।
এছাড়াও, অন্য কারণগুলো হচ্ছে তুরস্কের কূটনৈতিক বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া, উন্নয়নশীল বিশ্বে বিদ্যমান সর্বাধিক চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি, ডবল অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি বিনিয়োগের উপর ভঙ্গুর সরকারি আর্থিক সংস্থানের নির্ভরশীলতা। ক্লোজিংয়ের ভিত্তিতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরা রেকর্ড নিম্নস্থানে অবস্থান করছে।