তারেক রহমানকে নির্যাতনকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি উপলক্ষে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে উদীয়মান সূর্য। এই সূর্য যাতে আলো ছড়াতে না পারে সেজন্যই ১/১১ সৃষ্টি করে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয়, রাজনীতির আকাশে সব কালোমেঘ দূর করে তারেক রহমান ফিরে যাবেন জনতার মাঝে। দায়িত্ব নিবেন দল ও দেশের। নেতৃত্ব দিবেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের। দেশের মানুষ তার প্রতীক্ষায়। কারণ তার হাতেই নিরাপদ আগামি দিনের বাংলাদেশ। তারেক রহমান বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতা এটি নির্ধারিত, তিনি বাংলাদেশের আগামি দিনের রাষ্ট্রনায়ক- এটি অনিবার্য। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন এটি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সভায় বক্তারা বলেন, গত সাড়ে ছয় বছওে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও প্রমাণ হয়নি। তাই তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
অ্যাডভোকেসী ফর গুড গভর্ণেন্স ইন বাংলাদেশ (এজিজিবি)-এর উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ক্লিফটন হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। এজিজিবি’র সভাপতি গিয়াস উদ্দিন রিমনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এম এ মালিক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমতুল্লাহ। সভায় বক্তারা বলেন, মেয়াদ শেষে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেই হবে। তার আগে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি আগামি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকার গঠন করবে। তারেক রহমান ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ও সাবেক সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অস্ট্রিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার রিপন, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার আবু সায়েম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাণী পাঠ করেন ব্যারিস্টার হাসনাত আজাদী। এ উপলক্ষে এজিজিবি লন্ডনের বাংলা সংবাদপত্রে একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাণীতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ২০০৭ সালের অসাংবিধানিক সরকারের আমলে বিনা বিচাওে বন্দী অবস্থায় ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারেক রহমান। তার সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের মানুষ অহর্নিশ আল্লাহর দরবাওে প্রার্থনা করছে। তিনি বলেন, তারেক রহমান বিএনপিকে গুছিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী করার কারণেই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর অপচেষ্টা সফল হয়নি। এখনও হামলা-মামলা, অপপ্রচারের মাধ্যমে এই দল ও তার বলিষ্ঠ সংগঠক তারেক রহমানকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চলছে।
সভায় জনাব মাহিদুর রহমান বলেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সকল অপচেষ্টা নস্যাত করা হবে। তিনি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্চছবি। তার সাড়া জাগানো লন্ডন ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামীলীগের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তিনি অবিলম্বে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী জানান।
গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তারেক রহমান তার কাজের মধ্য দিয়ে তৃণমূল মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গিয়ে জনতার পাশে দাঁড়াবেন সেটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা। তিনি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণ তাকে দেশের দায়িত্ব তুলে দিতে চায়।
সভায় বক্তারা বলেন, তারেক রহমান তৃণমূল রাজনীতির মাধ্যমে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশকে আতœনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। অত্যাচার নির্যাতন অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে তার লক্ষ্যে পৌছতে দেয়া হয়নি। কিন্তু চক্রান্ত করে দেশনায়ক তারেক রহমানকে দমিয়ে রাখা যাবেনা। তারা বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবেনা। তার হাত ধরেই আগামী দিনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। অনুষ্ঠানের তারেক রহমানওে কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ’দেশ ভাবনা’ নামের একটি ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরকে নিয়ে তার লেখা প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ গানটি সমবেতভাবে পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন খোকন, শহিদুল ইসলাম মামুন, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, ব্যারিস্টার একেএম কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার হামিদুল হক লিটন আফিন্দি, সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার, ব্যারিষ্টার আলিমুল হক লিটন, ড. মজিবুর রহমান, সাংবাদিক আখতার মাহমুদ, ছাত্রদলের সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক শফিকুল ইসলাম রিবলু, আনোয়ার হোসেন মোমেন, শাহিন আহমদ নাসির, আবেদ রাজা, কামাল উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম স্বপন, রহিম উদ্দিন, সোলায়মান খান, মীর জোবায়ের আহমদ, মাছুম আহমেদ, খসরুজ্জামান খসরু, শামসুজ্জোহা, এম এ কাইয়ুম, ডা. আনিছুজ্জামান, সোহেল আহমেদ সাদিক, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, আবুল হোসেন, এম এস লিটন, হেভেন খান, তারেক রানা, কাজল চৌধুরী, সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী, সেলিম আহমেদ, মুন্সি এ ফয়সল জুয়েল, আলীম আল রাজা, জুল আফরোজ মজুমদার, রেজাউল হক, আব্দুল আলিম, আরিফ বিল্লাহ, এম এম হোসেন রাজু, ফায়জুল ইসলাম ভুইয়া, অপু শাহরিয়ার, মিছবাহ উদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন, এম এ সালাম, সাংবাদিক অহিদ আহমেদ, সঞ্জব আহমেদ, মহিবুর রহমান, আমিনুর রহমান আকরাম, মৌলানা শামীম আহমেদ, জুল আফরোজ মজুমদার, লুতফুর রহমান, ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর আলম, আফজল হোসেন, ফেরদৌস আহমদ, ছাদিক আহমেদ, লুবেক আহমেদ, তরিকুর রশিদ শওকত, নজরুল ইসলাম, সজিব আহমেদ, মহিদ আলম, কাজী নাহিদ হাসান ভিকি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট রনি, মইন আহমেদ, হুমায়ুন কবির হিমু, রাজিব আহমেদ খান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, মাসুদর রহমান মাসুদ, নুরুউদ্দিন মোহাম্মদ রাজন, মোহাম্মদ ইউনুস প্রমূখ।