জার্মানিতে গঠিত হচ্ছে মহাজোট সরকার
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানিতে আবার মহাজোট সরকার গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি দলের মধ্যে জোরালো আলোচনায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচনের ফল জানার পর থেকে এসপিডি দল বিরোধী আসনে বসার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল। শেষ পর্যন্ত জার্মান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর দলের শীর্ষনেতা মার্টিন শুলৎস মহাজোট সরকারে যোগ দেয়ার আহ্বান মেনে নেন।
তবে ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে বোঝাপড়া হলে দলের সদস্যদের মত নিয়েই তিনি এ পথে এগোবেন বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ সদস্যরা ভোটাভুটিতে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে এসপিডি সরকারে যোগ দেবে না। আগামী ৭-৯ ডিসেম্বর বার্লিনে দলের জাতীয় সম্মেলনে সম্ভাব্য মহাজোট সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।
চ্যান্সেলর মার্কেল শুরু থেকেই মহাজোট সরকার গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসপিডি দল যেভাবে শুরুতেই সেই সম্ভাবন উড়িয়ে দিয়েছিল, তার ফলে তাকে বাধ্য হয়ে এফডিপি ও সবুজ দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হয়। সেই আলোচনা বিফল হওয়ার পর আবার মহাজোট সরকারের তোড়জোড় চলছে? রোববার সিডিইউ দলের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে মহাজোট গড়ার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানান। সংখ্যালঘু সরকারের চেয়ে স্থিতিশীল সরকার গড়ার পক্ষে সওয়াল করেছে মার্কেলের দল। প্রাথমিক প্রস্তুতির পর এবার দরকষাকষির পালা।
মহাজোট সরকারে যোগ দেয়ার অপ্রিয় সিদ্ধান্তের ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে এসপিডি দলের কয়েকজন নেতা কঠিন শর্ত চাপানোর কথা বলছেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন শিবিরের কিছু নেতা এসপিডি দলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বর্তমান দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা যদি ‘অন্যায্য’ শর্ত চাপানোর চেষ্টা করে, তার পরিণাম ভালো হবে না।
বার্লিনে এসপিডি সম্মেলনের পরেই ইউনিয়ন শিবির আলোচনার কৌশল স্থির করবে বলে জানিয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার চলতি সপ্তাহেও ছোটবড় নানা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। নতুন নির্বাচন এড়িয়ে স্থিতিশীল সরকার গঠনের লক্ষ্যে সব দলই যাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, তিনি সেটা নিশ্চিত করতে চান। বিশ্লেষকরা বলছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মার্কেলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তিনিই যে চতুর্থ দফায় চ্যান্সেলর হচ্ছেন, তাতে কোনো সংশয় নেই। তবে মহাজোট সরকার গঠনে কতদিন লাগবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।