ফেলানী হত্যা মামলার আসামি বেকসুর খালাস

felaniবহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার আসামি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়ায় হতবাক হয়েছেন ফেলানীর বাবা-মা। শুক্রবার ভারতের কুচবিহার ১৮১ বিএসএফ সদর দপ্তরে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট এ রায় ঘোষণা করেছে।
রায়ের খবর সংবাদকর্মীরা ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আবু হানিফকে জানালে তারা হতবাক হয়ে যান। এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, অমিয় ঘোষ আমার মেয়ের বাঁচার আকুতি না শুনে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে। এতে তার ফাঁসি হওয়া উচিৎ। সেখানে তাদের কোর্ট তাকে বেকসুর খালাস দিল। এ রায় আমি মানিনা। একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেলানীর মা।
মামা আবু হানিফও রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বিচারটি তাদের দেশে হওয়ায় ওই খুনি বিএসএফকে বাঁচাতে এক তরফা রায় দিয়েছে আদালত।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে নাগেশ্বরীর রামখানায় তার বাড়িতে বাবার সাথে ফেরার পথে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ বিশেষ আদালতে আসাম ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (কমিউনিকেশনস) সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারক কঠোর গোপনীয়তায় এ বিচার পরিচালনা করেন।
শুক্রবার মামলার আসামি চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাসের রায় দেয় আদালত।
কুড়িগ্রামে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘যদি এ ধরণের রায়ই দিয়ে থাকে তাহলে এ বিচারের মধ্য দিয়ে খুনিকে আইনি বৈধতা দেয়া হল। এতে বিএসএফ বেপরোয়া হয়ে উঠবে। সীমান্তে খুনের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন আরো বলেন, অমিয় ঘোষ স্বীকার করেছে তার অস্ত্র থেকে গুলি বেড়িয়েছে। এটা প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে দোষী সাব্যস্ত করলে নৈতিক পরাজয় ঘটে ভারতের। সে কারণেই এ ধরণের প্রহসনমূলক রায় দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button