ইন্তিফাদা শুরু হলে বিপাকে পড়বে ইসরাইল
জেরুসালেমে বসবাসরত সাংবাদিক হারেন্দ্র মিশ্র বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিরা যে প্রতিরোধ আন্দোলন বা ইন্তিফাদা’র ডাক দিয়েছে তাতে ইসরাইলের জন্যে এক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, এর আগে যখন ফিলিস্তিনে দুটি ইন্তিফাদা হয়েছিল তখন হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। এই ইন্তিফাদা যদি এখানে আবার হয় তাহলে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। ওইখানে তরুণরা চাকরি পাচ্ছে না। বিশেষ করে গাজা এবং পশ্চিম তীরে যে রকম বেকারত্ব আছে আর তার সাথে যদি ইন্তিফাদা যোগ হয়ে যায়, তাহলে ইসরাইলের জন্য অনেক বড় সমস্যা হতে পারে।
ফিলিস্তিন গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া ইতিমধ্যে নতুন এক ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন। তাছাড়া অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, ফিলিস্তিন বিক্ষোভ বিপদজনক রূপ নিতে পারে। যে বিভক্ত শহর নিয়ে এই বিরোধ সেই জেরুসালেমেই বাস করছেন সাংবাদিক হারেন্দ্র মিশ্র।
তিনি বলেন, জেরুসালের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা অনেক খুশি হয়েছে। কিস্তু তার সাথে সাথে এখানের যে দৌদিজা বাসিন্দারা আছে তাদের মধ্যেও দুটো পক্ষ রয়েছে যার একটি পক্ষ খুশি হলেও আরেক পক্ষ মনে করছে এখানে ট্রাম্পের ইসরাইলের রাজধানী জেরুসালেম এমন ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হবে। অনেক হিংসাত্বক ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা করছেন তারা। গাজাতেও এ ধরনের গোলোযোগ ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তি হয়েছিল কিন্তু মি. ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর সেই চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জেরুসালের লোকজন এখন কী মনে করছেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেরুসালেমের যারা ইহুদি বিশেষজ্ঞ, তারাও মনে করেন যদি এই রকম হয় যে শান্তি চুক্তি নিয়ে আর কথা না হয়, আর যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো সমঝোতা না করতে পারে, সংকটের সমাধান না হলে উদ্বেগ আরো বাড়বে। দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা না হলে, সংঘাত বাড়লে মধ্যপ্রাচ্যে বা ইসারায়েল ও ফিলিস্তিনে ‘ডেমোগ্রাফি প্রোফাইলে’ জটিলতা আরো তীব্র হবে।
মি. ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর জেরুসালেমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কী কোনো শঙ্কা তৈরি হয়েছে?
এই প্রশ্নের জবাবে হারেন্দ্র মিশ্র বলেন, শঙ্কাতো আগে থেকেই দেখা দিয়েছে, তবে পবিত্র স্থানগুলো ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কঠোর নিরাপত্তা আছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছে। কিন্তু শীঘ্রই যদি সংকটের কোনো সমাধান না করা যায় তাহলে পরিস্থিতি হয়তো ইন্তিফাদায় রূপ নিতে পারে।