লেবাননে ব্রিটিশ কূটনীতিকের মরদেহ উদ্ধার
লেবাননে রেবেকা ডাইকস (৩০) নামের একজন ব্রিটিশ কূটনীতিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, মিস রেবেকা লেবাননের ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তা। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পশ্চিম অংশের মেটন হাইওয়ের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় দড়ি প্যাঁচানো ছিলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এই হত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছেন। এই হত্যার সঙ্গে ধর্ষণের কোন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিস রেবেকার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে এবং তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
স্কাই নিউজের সাংবাদিক অ্যাডেল রবিনসন বলেছেন, স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে- শুক্রবার রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে বৈরুতের গেম্মাইজেহ এলাকার একটি পানশালায় যান মিস রেবেকা। মধ্যরাতে তিনি বের হয়ে যান।
রেবেকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় রেবেকার মৃত্যুতে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি আমরা। সংবাদমাধ্যম যেন তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মিস রেবেকার লিংকড-ইন প্রোফাইল অনুসারে, তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরোধ, স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোগ্রামের আওতায় ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর প্রোগ্রাম এবং পলিসি ম্যানেজার ছিলেন।
তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, বড়দিনের ছুটি কাটাতে শনিবার ব্রিটেনে আসার কথা ছিলো তার।
ডিএফআইডি’র একজন মুখপাত্র তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, এই বেদনাদায়ক মুহূর্তে আমরা তার পরিবার এবং বন্ধুদের পাশে আছি।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিস রেবেকার পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করতে সচেষ্ট রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা লেবাননের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এক মুখপাত্র বলেন, বৈরুতে মৃত্যুবরণকারী ব্রিটিশ ওই নারীর পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।
লেবাননে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হুগো শর্টার এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, এই ঘটনায় পুরো দূতাবাস অত্যন্ত বিস্মিত ও মর্মাহত। এর তদন্তে স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই হত্যার পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই ধারণা করছেন তারা।