সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আবারো উত্তাল মিসর
আবুল কালাম আজাদ মিসর : নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে অপসারণের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে স্বৈরশাসক মোবারকের মুক্তি ও সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আবারো উত্তাল মিসর। গতকাল বাদ জুমা কায়রোসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে দশ লক্ষাধিক মুরসি সমর্থকেরা। তাছাড়া দুমিয়াত জেলার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ ও স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলা চালালে এতে নিহত হয় একজন আর আহত হয়েছে বিশজনের অধিক।
পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভে যোগ দিতে সকাল হতেই রামসিস স্কয়ারের আল ফাত্তাহসহ মসজিদগুলোতে জড়ো হতে থাকে মুরসি সমর্থকেরা বাদ জুমা কায়রোতে নাসের সিটির আল সালাম, আল ঈমান, আব্বাসিয়ার আল নুর, মাদি, হেলওয়ান, শুবরাল খিমা, শেরাটন, রুকসি, মুহানদিসীন, কুবরি বেল্লুনা, মাকরাম আবিদ, মদিনাতুল রিহাবসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মসজিদ থেকে বিক্ষোভ বের করে মুরসি সমর্থকেরা। পরে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। এতে অচল হয়ে যায় কায়রোসহ সারা দেশ।
এছাড়া আলেকজান্দ্রিয়াতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিক্ষোভসহ সুয়েস, ফাইউম, বুহায়রা, আসিউত, দাখালিয়া, কালুবিয়া, বুহায়রাহ, দেমানহুডড়সহ সকল জেলায় বিক্ষোভ করেছে কয়েক লাখ মুরসি সমর্থক। বিক্ষোভে নারীদের সংখ্যাও ছিল ব্যাপক। তাছাড়া অনেক নারী তাদের শিশুকে কোলে বা কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তাদের হাতে সিসি হত্যাকারী, নিপাত যাক মুরসি মুক্তি পাক, গণতন্ত্র হত্যা কোন অবস্থায় মেনে নেবো না, অনেক নেতা দেখেছি মুরসির মতো পাইনি, গণহত্যায় নিন্দা জানাই সিসি তোমার ক্ষমা নেই ছাড়াও বিভিন্ন রঙ-বেরঙের ফেস্টুন প্লাকার্ড ও রাবেয়া স্কয়ারের চার আঙ্গুল খচিত প্রতীক নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা।
এদিকে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য হওয়ায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। অনেক এলাকায়ই পানি বা বিদ্যুৎ সমস্যা লেগেই আছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। ফলে আন্দোলনে সব শ্রেণীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হামলা করায় নিন্দা জানিয়েছে ব্রাদারহুড। তবে এটা আন্দোলন দমানোর সাজানো নাটক বলে মনে করছে সাধারণ মানুষেরা। এদিকে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে জরুরি অবস্থায়।