ম্যাড ফ্রাইডেতে মাতলামি তরুণ-তরুণীদের
ব্রিটিশদের কাছে শুক্রবারটা ছিল ‘ম্যাড ফ্রাইডে’ অর্থাৎ মাতাল শুক্রবার। বড়দিনের আগে এ দিনটিতে ব্রিটিশরা যেন মাতাল হয়ে পড়েছিলেন। এ দিনটিকে উদযাপন করেছে পুরো ব্রিটেন। তবে এর মাত্রা ছিল অন্যরকম। দিবাগত রাতে মদপান চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্রাডফোর্ড, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে মদ্যপ লোকজন হামলা করেছে পুলিশের ওপর। এমনই একজন পুলিশ হলেন সার্জেন্ট অ্যালেক্স আর্টিস। তার মাথায় বড় একটি ক্ষত হয়েছে। তা থেকে রক্তে সয়লাব তার মাথা। রাস্তায় দেখা গেছে মদপান করে বেসামাল যুবক-যুবতী।
তাদের পোশাক কোথায় কীভাবে আছে সেদিকে খেয়ালই ছিল না। অনেকে এমন পোশাক পরেছিলেন, যার ভেতর দিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো দৃশ্যত অনাবৃত হয়ে পড়ে। এতে বলা হয়েছে, মদপানের অনুষ্ঠান ও পরবর্তী পরিস্থিতি চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ সময় ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের দু’জন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায় এসব মদ্যপ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সার্জেন্ট অ্যালেক্স আর্টিস লিখেছেন, ম্যাড ফ্রাইডে নিজেই যেন দুঃখজনক এক নামে পরিণত হয়েছে। দু’ঘণ্টায় আমার তিনজন অফিসার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের লিডসে ম্যাড ফ্রাইডে উদযাপনের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে কিছু প্যারামেডিক চিকিৎসক এক ব্যক্তিকে রাস্তায় চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাকে শুইয়ে দেয়া হয়েছে রাস্তার ওপরই। মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়েছেন। মদপানকারী অন্যরা রাস্তায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। কেউ বা বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছেন রাজপথ। এ অবস্থা সামাল দিতে জরুরি সেবা সার্ভিসগুলোকে হিমশিম খেতে হয়েছে।