পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদলের সভা অনুষ্ঠিত, যোগ দিলেন খালেদা জিয়া
ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সভা করার জন্য আগে অনুমতি দিয়েও পরে তা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের অন্য নেতাকর্মীদের সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে তীব্র বিক্ষোভের মুখে হল রুম খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওই ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। তবে সকাল থেকেই মিলনায়তনে প্রবেশের দরজা বন্ধ রাখে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মিলনায়তনের বাইরে খোলা চত্বরে সমাবেশ শুরু করে ছাত্রদল।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সোয়া ৫টার দিকে মিলনায়তনের দরজা খুলে দেয় পুলিশ। এর পরই খালেদা জিয়া ভেতরে প্রবেশ করেন এবং আলোচনা সভা শুরু হয়।
এদিকে, খোলা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ থেকে এ সরকারের পতনের দিন শুরু হলো। বিএনপিসহ দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো আজ থেকে সামনে এগিয়ে যাবে। কেউ আর পিছিয়ে পড়বে না।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। তারা ব্যাংক ও শেয়ার বাজার লুটপাট করায় ধ্বংস হয়ে গেছে দেশের অর্থনীতি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সমাবেশটি দুপুর ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভেন্যুর ফটকে তালা দেওয়া হয় সকালেই। সেই তালা খোলেনি। এ কারণে সামনের চত্বরেই সমাবেশের প্রস্তুতি নেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কার ইঙ্গিতে ছাত্রদলের আজকের সমাবেশ পণ্ড করতে চেয়েছিলেন? এই সমাবেশ কার ইঙ্গিতে বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে?’ এই দল (আওয়ামী লীগ) হলো সেই দল, যারা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘২০১৮ হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বছর। ছাত্রদলের সব নেতাকর্মীকে শপথ নিতে হবে এই বলে— এই বছর হচ্ছে কঠিন বছর। গণতন্ত্র উদ্ধারের বছর।’
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার পাটোয়ারি বলেন, ‘আমরা গতকাল (সোমবার) রাত থেকেই সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ সকাল ৯টায় সমাবেশ স্থলের এক কর্মকর্তা ফোন করে জানান, শাহবাগ থানার অনুমতি পেলে মিলনায়তনের গেট খোলা হবে। সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার মনোভাব দেখিয়ে আমাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।’