শীতকালীন ঝড়ে বিপর্যস্ত ইউরোপ
পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপজুড়ে আঘাত হানা শীতকালীন ঝড়ের কারণে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ডসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে লাখো মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচল। প্রতিবেদনে বলা হয়, আল্পস পর্বতমালার ফরাসি অংশে গাছ পড়ে একজন নিহত হয়েছে। স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় বাসকিউ উপকূলে বিশাল ঢেউয়ের টানে দুইজন ডুবে যায়।
আমস্টার্ডামের বিমানবন্দরে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে জড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সেখানে কয়েকশো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফ্রান্সে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার। দেশটিতে ঝড়ের কারণে ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। ঝড়ো বাতাসের কারণে আইফেল টাইয়ার বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ার ভয়ে পার্কগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে ঝড়ের সময় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে আটজন আহত হয়েছে। দেশটির প্রায় ১৪ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ার কারণে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুইজারল্যান্ডেও ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কয়েকজন আহত হয়েছে। সুইডেনে লুসানে শহরের কাছে ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বেলজিয়ামে ঝড়ের সতর্ককতা জারি করে লোকজনকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়া যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেলজিয়ামে চারটি সতর্কতা মাত্রার মধ্যে তৃতীয়টি অর্থাৎ ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লোকজনকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রিয়া ও জার্মানির কিছু অংশেও ঝড় আঘাত হেনেছে। অস্ট্রিয়ার কিটজবুহেল থেকে একটি ক্যাবল কারে আটকা পড়া ২০ আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। -বিবিসি