কানাইঘাট সীমান্তে ২৫দিনের ব্যবধানে ২ বাংলাদেশীকে হত্যা
মাহবুবুর রশিদ,কানাইঘাট: কানাইঘাটের সুরাইঘাট বাংলাদেশ সীমান্তে ২৫ দিনের ব্যবধানে ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে দুই বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় সীমান্ত এলাকার লোকজনদের মধ্যে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশের কানাইঘাট সীমান্তের সোনাতন পুঞ্জি এলাকা থেকে ভারতীয় খাসিয়ারা সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বড়বন্দ গ্রামের বেলাল আহমদ (৩০) কে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ২৫ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার কানাইঘাট সীমান্তের সিঙ্গাইর এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ভারতের সুরাই পুঞ্জির খাসিয়ারা ধরে নিয়ে বড়বন্দ ৩য় খন্ড গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৩) কে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ভারতের অভ্যন্তরে সিঙ্গাইর খালে ফেলে রাখে। পরে গত বুধবার ভারতের ডাউকিতে দু\’দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর খাসিয়াদের হাতে নিহত নাজিম উদ্দিনের লাশ সুরাইঘাট বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে লাশ ফেরত দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। ১মাসের মধ্যে ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়াদের হাতে দুই বাংলাদেশী নিহতের ঘটনায় সীমান্তের খেটে খাওয়া দিন মজুর লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কানাইঘাট সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন জানান সীমান্তের অপারে ভারতীয় পুঞ্জি গুলোতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাজের তাগিদে অনেকে যেমন চোরাই পথে ভারতীয় পুঞ্জিতে গিয়ে কাজ করেন। অপরদিকে ভারতীয় খাসিয়া নারী-পুরুষরা অনুরূপভাবে চিকিৎসা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাংলাদেশের কানাইঘাট সীমান্তে প্রবেশ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ হাতে প্রায়ই বাংলাদেশীরা হত্যাকান্ডের শিকার হলেও অদ্যবধি পর্যন্ত কানাইঘাট সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে কোন বাংলাদেশী প্রাণ হারাননি বলে তারা জানিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে গত ৪ বছরের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় শুধুমাত্র ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়াদের হাতে ৫জন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশী আহত ও শতাধিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধে দু\’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরধারের উপর গুরুত্বারূপ করেছেন তারা।