নতুন কিছু করার ইঙ্গিত এরদোগানের
২০১৮ সালে ৪৩ হাজার সেনা সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। দেশটির সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এক সাথে এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া এই প্রথম। এই বিশাল সংখ্য সেনার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার কমিশনড অফিসার থাকবেন। এছাড়া নন-কমিশনড অফিসার নিয়োগ পাবেন ৫ হাজারের বেশি।
স্পেশাল সার্জেন্ট পদে নিয়োগ দেয়া হবে ১৩ হাজার এবং চুক্তিভিত্তিক অফিসার নিয়োগ পাবেন ২০ হাজারের বেশি। সর্বশেষ ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে কয়েক হাজার সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। অনেকে এখন বিচারের মুখোমুখি। তবে বরখাস্ত অফিসারের সংখ্যার চেয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া সংখ্যাটি অনেক বেশি। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
বর্তমানে তুরস্কের সেনারা দেশের বাইরেও অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া কাতার, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন ঘাঁটি করছে তুরস্ক। ফলে সেনাবাহিনীতে আরো বেশি লোকবল দরকার। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে আরো সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে তুরস্ক- এমন ঘোষণা দিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এরদোগান বলেন, এখন থেকে যত ঝুঁকিই থাকুক না কেন- তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি আরো সাহসী এবং আরো সক্রিয় হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব কমতে শুরু করেছে। নানা সময়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে কমছে মার্কিন মিত্র সৌদি আরবের প্রভাবও। উল্টো দিকে তুরস্ক তার প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে। ইরান ও রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে সিরিয়া সংকটের সমাধানে অগ্রগামী ভূমিকায় আছে আংকারা। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক এমনকি সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। এরদোগানের এই ঘোষণায় আরো বড় কিছু ইঙ্গিত রয়েছে। বিশেষ করে সুদানের সুয়াকিন দ্বীপ নিজেদের হাতে নেয়ার মাধ্যমে গত বছর শেষ করায় অনেকের ঔৎসুক্য তৈরি হয়েছে।