যোগ্যতার ভিত্তিতে জব : ইমিগ্রান্টদের দিকে ব্রিটিশদের আঙ্গুলী
মনিরুজ্জামান: এক-তৃতীয়াংশের বেশী ব্রিটিশরা দাবি করেছে বিদেশী ওয়ার্কারদের জন্য ভালো বেতনের জব পাচ্ছেনা তারা। এক্ষেত্রে অভিবাসীদের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের।
কনজারভেটিভ পার্টির ডোনেশনে লরা অ্যাশক্রফটের এক জরিপে দেখা যায়, ৩৬ পার্সেন্ট ব্রিটিশ অভিযোগ তুলেছে তাদের পরিবারের নুন্যতম একজন জব পাচ্ছেননা। এজন্য তারা বিদেশী ওয়ার্কারদের দায়ী করেন। তাদের বিশ্বাস বিদেশীদের কম বেতনে জব দিতে পারায় ব্রিটিশদের মুল্যয়ন করা হচ্ছেনা। ২৪ পার্সেন্ট ব্রিটিশ দাবি করেছে, হাউজিং এবং অন্যন্য সরকারী সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে অভিবাসীদের বেশী মুল্যয়ন করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
জরিপে আরো দেখা যায় ৬০ পার্সেন্ট ব্রিটিশদের ধারনা অভিবাসীরা দেশের জন্য ভালো মন্দ দুই বয়ে আনছে। তাদের মাত্র ৬ পার্সেন্ট মনে করেন অভিবাসীদের জন্য দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
টরী পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান লরা অ্যাশক্রফট ২০ হাজারের বেশী মানুষকে নিয়ে এই জরিপ পরিচালনা করেন। তাদের অধিকাংশ দাবি করেন, অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রনে সরকারের কোন কার্যকরী পদ্ধতি নেই।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এবং হোম সেক্রেটারী থেরেসা মে ২০১৫ সালের মধ্যে ১ লাখ অভিবাসী কমাতে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৭৭ পার্সেন্ট ব্রিটিশদের ধারনা অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রন করলে সরকারের উপর থেকে বড় একটি বোঝা নেমে যাবে। ব্রিটিশরা সহজে ভালো চাকুরী পাবে।
সরকারের সাম্প্রতিক ‘গো হোম’ বিজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে চাইলে ৭৯ পার্সেন্ট এই বিজ্ঞাপনকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং ১৭পার্সেন্ট বলেছেন বিজ্ঞাপন বৃথা। বিজ্ঞাপন প্রচার কালে রেসিস্ট, অফেনসিভ ইত্যাদি বলে সমালোচিত হয় ওই সময়। কয়েকজন মন্ত্রী সরাসরি এই বিজ্ঞাপনের বিরোধীতা করেছেন।
লরা অ্যাশক্রফট বলেন, জনগনের ধারনা সরকার কোন পদক্ষেপ নিলে বিভিন্ন গোষ্ঠি তার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সমালোচনা করেন। কিন্তু কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যাবে তা নিয়ে মাথা ঘামাননা কেউ। সমাধানের বিভিন্ন কৌশল দিয়েছে ব্রিটিশরা। তাদের ধারনা হাউজিং, জব, এনএইসএস, স্কুল এবং বেনিফিট সিস্টেমে অভিবাসীরা বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রন করা।