মাওলানা সাদ ইজতেমায় অংশ নিবেন না

mawlana-saadবিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি ও জিম্মাদার মাওলানা সাদ কান্ধলভি টঙ্গীর তুরাগতীরে তাবলীগ জামাতের ইজতেমায় যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কাকরাইলে অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের শূরা কমিটির সিদ্ধান্তে মাওলানা সাদ ইজতেমায় যাচ্ছেন না। মাওলানা সাদ সেখানে ইজতেমায় অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে রাখা হয়েছে।
ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা মুহাম্মদ সাদের বাংলাদেশে আসা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দুই গ্রুপের সৃষ্টি হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ ইজতেমায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন—এমন বক্তব্য দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্বরের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁরা দাবি তোলেন, মাওলানা সাদ ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে ফেরত পাঠাতে হবে।
আলেম ও মুসল্লিদের বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবরোধের ফলে ওই গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়তে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রী ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সারা দিন চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হন।
যেখানে আলেমরা বিক্ষোভ করেন, তার পেছনে একটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘মাওলানা সাদ সাহেবের সরকারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমায় আসার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের ইমানদারদের তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ’।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক ঘোষণা করেন, আমরা জানতে পেরেছি মাওলানা সাদ বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে চলে গেছেন। তাই এখানের জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা বিবেচনা করে এখানকার বিক্ষোভ-সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করছি। পাশাপাশি আমরা মাওলানা সাদকে ঠেকাতে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাএলাকায় অবস্থান করব।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button