ইস্ট লন্ডন মসজিদের নবনিযুক্ত সিইও নজমুল হোসাইনের মতবিনিময়
বিলেতের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের নবনিযুক্ত সিইও (চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার) নজমুল হোসাইন। কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, পলিসি এন্ড স্ট্রাটেজি এবং স্ট্রাটিজিক লীডারশীপে অভিজ্ঞ নজমুল হোসাইন মতবিনিময়কালে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, সিইও হিসেবে যোগদানের পর তারঁ মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই মসজিদকে সর্বস্তরের মানুষের জন্য সেন্টার অব এক্সেলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা। বিশেষকরে মসজিদকে সম্পুর্ণভাবে ঋণমুক্ত করে একটি স্বয়ংসম্পন্ন ও স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানো তাঁর বিশেষ লক্ষ্য। তিনি বলেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই একটি সাধারণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা হতে পারেনা, এই প্রতিষ্ঠানের সেবার পরিধি বিস্তৃত হবে এবং এটি হবে বৃটেনের একটি আইকোনিক প্রতিষ্ঠান। সে লক্ষ্যেই আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গত ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মারিয়াম সেন্টারের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি আইয়ূব খান, ট্রেজারার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক ও ডাইরেক্টর অব ফাইন্যান্স এন্ড এনগেইজমেন্ট দেলওয়ার খান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে নবনিযুক্ত সিইও নজমুল হোসাইন এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের সেক্রেটারি আইয়ূব খান। তিনি বলেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদ দিনদিন বড় হচ্ছে। মসজিদ যতই বড় হচ্ছে সার্ভিসও বাড়ছে। কাজের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা সময়ের প্রয়োজনে মসজিদ পরিচালনায় একজন সিইও নিয়োগের প্রয়োজন অনুভব করি। ইন্টারভিউ গ্রহণের মাধ্যমে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে যোগ বিবেচনায় আমরা নজমুল হোসাইনকে নিয়োগ প্রদান করেছি। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে তাঁর কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা আশাবাদি, তিনি তাঁর সেই যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে ইস্ট লন্ডন মসজিদকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নজমুল হোসাইন বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে বড় হয়েছেন। তাঁর স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি জীবনও কেটেছে এখানেই। শিক্ষাজীবনে লন্ডন সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে সোশ্যাল সায়েন্সে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে ম্যানেজমেন্ট এবং ইয়ূথ এন্ড কমিউনিটি নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন। লেখাপড়া শেষে টাওয়ার হ্যামলেটসেই তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে বিভিন্ন উচ্চ পদে চাকরি করেন। সর্বশেষ তিনি কাউন্সিলের কো-অপারেট কমিউনিটি সেইফটি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি লন্ডন বরা অব ব্রমলীতে কমিউনিটি সেইফটি সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৫ পর্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ওয়ালসাল কাউন্সিলের পার্টনারশীপ ডাইরেক্টর পদে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বার্মিংহ্যামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের সিইও হিসেবে যোগদান করেন এবং ২ অক্টোবর ইস্ট লন্ডন মস্কে সিইও নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক সুরমার সাবেক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, চ্যানেল এস টিভি’র হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খান, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, মাসিক দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, সাপ্তাহিক পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মতিউর রহমান চৌধুরী, ইউকেবিডিটাইমস এর প্রধান সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার সাবেক সম্পাদক আব্দুল মুনিম জাহিদী ক্যারল, অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ওয়ানবাংলা নিউজ এর সম্পাদক জাকির হোসাইন কয়েস, সাংবাদিক ও লেখক আকবর হোসেন, টিভি ওয়ান-এর প্রোগ্রাম প্রেজেন্টার তানিম আহসান, এটিএন বাংলার রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান, চ্যানেল আই রিপোর্টার ফজলুল হক ও এনটিভির রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি