১০ বছরে দেড় লাখ ভূমিকম্প, নিহত সাড়ে চার লাখ
ঘন ঘন ভূমিকম্পে দুলে উঠছে পৃথিবী। গত ১০ বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড় লাখ ভূমিকম্পের আঘাতে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। উইকিপিডিয়ায় গত ১০ বছরে বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভূমিকম্পের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫টি ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আর এসব ভূমিকম্পের ফলে নিহত হন চার লাখ ৪৮ হাজার ৪৩২ জন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতিতে অনুভূত রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে। এতে তিন লাখ ১৬ হাজার মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৮৭ হাজার ৫৮৭ জন প্রাণ হারান।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১২ হাজার ৮৬০টি ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার ২৩২ জন, ২০১৬ সালে ১৪ হাজার ৪২০টি ভূমিকম্পে এক হাজার ৩৩৯ এবং ২০১৫ সালে ১৪ হাজার ৭৯৫টি ভূমিকম্পে ৯ হাজার ৬৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
২০১৪ সালে ১৫ হাজার ১২১টি ভূমিকম্পে ৭৭৫ জন, ২০১৩ সালে ১১ হাজার ৩৪১টির আঘাতে ১,৫৩৮ জন, ২০১২ সালে ১২ হাজার ৫৪৮টির আঘাতে ৭২০ জন এবং ২০১১ সালে ১৫ হাজার ৭৯৮টির আঘাতে ২২ হাজার ৫৩ জন প্রাণ হারান।
এ ছাড়া ২০১০ সালে ১২ হাজার ৩০০টির আঘাতে তিন লাখ ২০ হাজার ৬২৭ জন, ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৮৬২টি ভূমিকম্পে এক হাজার ৭৯০ জন, ২০০৮ সালে ১৪ হাজার ২৪০টিতে ৮৮ হাজার ১১ জন এবং ২০০৭ সালে ১৪ হাজার ৩৫০টি ভূমিকম্পে ৭১২ জন নিহত হন।
উল্লেখ্য, উইকিপিডিয়া যখন ভূমিকম্প সংক্রান্ত এই তথ্য তুলে ধরেছে। তখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম রাজ্যে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার আঘাত হানা এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে পশ্চিমে কোকরাজহড়ে। কর্মকর্তারা জানান, পুরো রাজ্যেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়তির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।