শারমিন হক ফ্রান্সের প্রথম বাংলাদেশি কাউন্সিলর
মো. মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, ফ্রান্স (প্যারিস) থেকে: ফ্রান্সে বাংলাদেশিদের কলরব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রান্সে মূলত রাজনৈতিক আশ্রয়, উচ্চশিক্ষা, বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিসহ নানা কারণেই শিল্প সংস্কৃতি ও মানবাধিকারের তীর্থভূমি ফ্রান্সে আগমন ঘটে বাংলাদেশিদের।
শুরুতে এ সংখ্যা হাতে গোনা হলেও বর্তমানে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৫০ হাজারের কোঠা ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন দীঘদিন ধরে এখানে বসবাসরত প্রবাসীরা। যদিও দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর কাছে এর সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই।
এক সময়ে এখানকার প্রবাসীরা আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন অর্ডিনারী জব করলেও বর্তমানে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশিরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ট্যাক্সিচালক, ফোন, আমদানি-রফতানি ব্যবসা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেকেই সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
নিজেদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে ধীরে ধীরে প্রবাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সের মূলধারায় রাজনীতিতে বাংলাদেশি প্রজন্মের পদচারণা শুরু হয়েছে।
ফ্রান্সে শারমিন হক আব্দুল্লাহ (২৯) প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে পিয়ার ফি (Pierrefitte) মিউনিসিপাল থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ প্রথম দফা ও ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তার দল সোশালিস্ট পার্টি সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ষাট শতাংশ ভোট তাদের পক্ষে যায়।
Mayor Michel forcade (মেয়র মিশেল ফরকেদ)-এর প্যানেলে ২৭ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সেই ২৭ জন থেকে একজনের মৃত্যু হলে ‘শুন্য পদে’ নির্বাচিত হন বাংলাদেশি শারমিন হক। তিনি আরও প্রায় তিনবছর কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করবেন বলে জানাগেছে।
তার বাবা আব্দুল্লাহ আল বাকী ইউরোপিয়ন আওয়মীয়া লীগের সহসভাপতি। নির্বাচিত শারমিন ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
অন্যদিকে শারমিনের এমন জয়ে উচ্ছ্বাসিত হয়ে ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, ভবিষ্যতে ব্রিটেনের মত ফ্রান্সের পার্লামেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূণ স্থানে আমরা বাংলাদেশিদেরকেও দেখতে চাই।