দক্ষিণ কোরিয়ার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিরাং শহরের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শহরটি রাজধানী সিউল থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার পর সেজং হাসপাতালে আগুন লাগে।
ইয়াংহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সেজং নামের হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় হাসপাতাল ভবনের ভেতরে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই হাসপাতাল এবং পাশের নার্সিং হোমে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের অধিকাংশকেই নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
মিরায়াং শহরের অগ্নিনির্বাপন বিভাগের প্রধান চই মান-উ বলেন, “হাসপাতাল ও নার্সিং হোম- দুই জায়গাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে।
অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর।
জেসিওন শহরের একটি সরকারি জিমন্যাসিয়ামে অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জন নিহতের মাসখানেক পর মিরায়াং-এ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটল।
২০০৮ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সেজং হাসপাতালটিতে প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসা কর্মী কাজ করেন বলে সাউথ গিয়ংসাং প্রদেশের কর্মকর্তারা জানান।
ঘটনাস্থলের ছবিতে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল ভবনের চারপাশে গাঢ় ধূসর ধোঁয়া দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেবল নার্সিং হোম থেকেই ৯৩ রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বলে তার মুখপাত্র ছেয়ং ওয়া দায়ে জানিয়েছেন।
দশককালের মধ্যে দেশটিতে হওয়া ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অধিকাংশই ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন বলে ধারণা দমকল কর্মীদের।