বিশ্ববাসী দেখলো ৩ রঙের সুপার মুন
বিশ্বের অসংখ্য উৎসুক মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন নতুন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগহণ। দেড়শ বছরের বেশি সময় পর এই ঘটনা হওয়ায় বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নানা প্রস্তুতি নেয়। সেখানে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই বিরল দৃশ্য অবলোকন করে।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ক্যাম্পে ১৪ ইঞ্চি এবং আট ইঞ্চি মিড ক্যাসিগ্রেইন টেলিস্কোপ, ছয় ইঞ্চি ওরিয়ন টেলিস্কোপ ও ফটোমিটার বসানো হয়। এছাড়াও গ্রহণ চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হয়। এছাড়াও অনুসন্ধিৎসু চক্রের ফেসবুক পেইজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ এরকম একই সঙ্গে ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’ হয়েছিল ১৮৬৬ সালের ৩১শে মার্চ। ফলে প্রায় দেড়শ বছরের বেশি সময় পর আবার পৃথিবীবাসী এরকম ঘটনার সাক্ষী হলো। যদিও জোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, একই সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাদের রং হয় খানিকটা রক্তিম ধরনের।
সূযের আলো পৃথিবীর বায়ুম-ল ছুঁয়ে খানিকটা ছাদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়। এ কারণে চাঁদটাকে অনেকটা রক্তিম দেখা যায়, যে কারণে এটিকে ডাকা হচ্ছে ব্লু ব্লাড ব্লুমুন বলে।’
বিজ্ঞানীরা একে বর্ণনা করছেন ‘সুপার ব্লুবাড ব্লু মুন’ বলে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় অস্ট্রোনোমিকাল ট্রাইফ্যাক্টা।
বিশ্বের যেসব দেশ থেকে এটি দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। আরো দেখা যায় এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন স্থান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড থেকেও।
আদি কাল থেকে পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের প্রতি মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। একটা সময়ে এসব বিষয়ে মানুষের মধ্যে নানা ভীতি ও সংস্কার কাজ করতো। এখনো অনেকের মধ্যে এসব সংস্কার আছে। তবে আস্তে আস্তে মানুষের মধ্যে সংস্কার বা ভীতি দূর হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের এখন আর এসব নেই বললেই চলে।