জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত কবি আল মাহমুদ
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন অসংখ্য কালজয়ী কবিতার গ্রষ্টা কবি আল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর ৭৮তম জন্মদিন। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেন বাংলাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।
‘আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে/হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশ।’ কিংবা সোনালি কাবিন কবিতায়- ‘বধূবরণের নামে দাঁড়িয়েছে মহামাতৃকূল/গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল।’ আবার ‘আম্মু বলেন, পড়রে সোনা/আব্বু বলেন, মন দে/ পাঠে আমার মন বসে না/কাঁঠালচাপার গন্ধে।’ এরকম অসংখ্য কবিতা আর লেখনীতে কবি আল মাহমুদ সমৃদ্ধ করেছেন বাংলাসাহিত্যকে।
জন্মদিনে কবি আল মাহমুদকে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন জানাতে সকাল থেকেই তাঁর বাসায় ভিড় জমাচ্ছেন কবি, সাহিত্যিক আর ভক্ত-অনুরাগী।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী কবির কবির মগবাজারের আয়শা গোমতি ভিলায় গিয়ে দলের পক্ষে কবিকে শুভেচ্ছা জানান।
কবি সংগঠন ‘কবিতা’র উদ্যোগে প্রীতি আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দেশবরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী।
বাংলা কবিতা যাদের হাত ধরে আধুনিকতায় পৌঁছেছে কবি আল মাহমুদ তাদের অগ্রগণ্য। তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। পরবর্তীতে প্রকাশ ‘কালের কলস’ ও ‘সোনালী কাবিন’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘দোয়েল ও দয়িতা’, ‘দ্বিতীয় ভাঙ্গন’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’ ও ‘তোমার রক্তে তোমার গন্ধে’।
তার প্রবন্ধে রয়েছে নতুন এক গদ্যশৈলী। লিখেছেন ‘পানকৌড়ির রক্তে’র মতো গল্পগ্রন্থ। রচনা করেছেন ‘উপমহাদেশ’ ও ‘কাবিলের বোন’-এর মতো উপন্যাস।
কবি আল মাহমুদ একুশপদকসহ দেশের বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।