তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন পুঁজিবাজারে
চলতি বছর তো বটেই, তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সুচক পড়েছে ১৩০ পয়েন্টেরও বেশি। এ নিয়ে গত ছয় কার্যদিবসে সূচক কমল ৩২৭ পয়েন্ট।
আজ দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছিল সূচক।
গত পাঁচ কার্যদিবস ধরেই বাজার ছিল নিম্নমুখী। প্রায় ২০০ পয়েন্ট সূচক কমে এই পাঁচ দিন।
কিন্তু হঠাৎ ধস ভাবিয়ে তুলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও। আজ বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এতে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারাদেরকে ডাকা হয়েছে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতনের পর ২০১৭ সালের শুরু থেকেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ফিরে আসতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ায় আস্থাও বাড়তে থাকে।
গত ২৫ জানুয়ারি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের তারিখ হওয়ার পর থেকেই পুঁবিজাজারে মূল্য পতন শুরু হয়। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আর এর প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারেও।
ডিএসইতে আজ হাতবদল হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ৩০২টির এবং দর বদলায়নি ১১টির।
লেনদেন হয়েছে ৩৬৪ কোটি টাকার শেয়ার। এটি আগের বছরের চেয়ে ৩৫ কোটি টাকা বেশি হলেও গত এক বছর ধরে বাজারে চাঙ্গাভাব দেখা যাওয়ার পর স্বাভাবিক লেনদেনের তুলনায় অনেক কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক প্রায় ৪০৪ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১৮ হাজার ২১৯ পয়েন্ট। হাতবদল হওয়া ২০৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।