১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান

Abbas১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নির্বাহী কমিটি। গত শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও, ‘প্যারিস প্রোটোকল’ এর শর্ত বাস্তবায়নসহ নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইসরাইলের কাছ থেকে পৃথক হওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন কমিটি। ১৯৯৪ সালের প্রোটোকলের অধীনে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি কাস্টমস ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে মূল্য সংযোজন কর, আমদানি কর এবং অন্যান্য কর সংগ্রহ করা এবং মাসিক ভিত্তিতে তা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। এছাড়াও, ফিলিস্তিনকে ইসরাইল এখনো পর্যন্ত স্বীকৃতি না দেয়ায় ইসরাইলের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের জন্য একটি কমিশন গঠনের জন্য হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টকে জিজ্ঞাসা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শনিবারের ওই বৈঠকে।
গত মাসে ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা শান্তির পথে অন্তরায় হবে না এবং ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি অর্জন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা অনুষ্ঠান।
আব্বাস আরো বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান অংশীদার হচ্ছে ইইউ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশনের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় ফিলিস্তিন। প্রেস কনফারেন্সে মোগেরিনি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র নির্মাণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেই এ সিদ্ধান্তও নাকচ করেন ফেদেরিকা মোগেরিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button