মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি গ্রেপ্তার
মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আরেক বিচারপতি আলী হামিদকেও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ বাহিনী।
সরকারের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই দুই বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে সে সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামেন উচ্চ আদালতের একটি রায় মানতে অস্বীকার করার পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। বিরোধী দলের এমপি ইভা আবদুল্লাগ বলেন, জরুরি অবস্থা জারি অত্যন্ত হঠকারী পদক্ষেপ। সরকার জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আস্থা হারিয়েছে।
সম্প্রতি আদালত পার্লামেন্টের নয় সদস্যককে (এমপি) মুক্তি আদেশ দেন, যার ফলে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিচার অবৈধ বলেও রায় দেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হওয়ায় সরকার দেশটির পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করে। এছাড়া ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থাও জারি করে।
মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম পিপলস মজলিস। ৮৫ সদস্যের ওই পার্লামেন্টে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরপরই আছে মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বাধীন মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি।
মোহাম্মদ নাশিদ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে ২০১২ সালেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।