রাজধানী জুড়ে পুলিশের তল্লাশি

chekingবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায় উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সব ধরনের মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ করলেও মূলত আজ থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। রাজধানী জুড়ে চলছে চৌকিতে চৌকিতে তল্লাশি।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশমুখে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। যানবাহনে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সেখানেও রয়েছে কড়াকড়ি। নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এছাড়া চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি টহলও জোরদার করেছে র‌্যাব। সারা শহরে সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। সচিবালয়ের চারপাশের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারগুলোকেও আধুনিক করা হয়েছে। গত ২/৩ দিন ধরে সেখানে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আজ বুধবার থেকে আগামী তিনদিন পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই তিনদিনকে বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় নিয়েছে রাষ্ট্রের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। তাদের সঙ্গে সক্রিয় থাকবে গোয়েন্দারাও।
বিশেষ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত সব সংস্থার সদস্যদের ছুটি বুধবার থেকে বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। রাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের দাবি, রায় পরবর্তী সহিংসতা হতে পারে এমনটি বিবেচনায় রেখে সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় সহিংসতা হতে পারে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি কারা এগুলো ঘটাতে পারে তাদেরও একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই তালিকা আইন প্রয়োগকারী প্রতিটি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, নাশকতা হতে পারে এমন সম্ভাব্য স্পটগুলোতে আগে থেকেই পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তারা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চেকপোস্টগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।বিগত কয়েকদিনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীদের বক্তব্যে রায়কে ঘিরে বিএনপির কোনও ধরনের সহিংস কর্মসূচির আভাস পাওয়া যায়নি। তবু রায়ের পর তাৎক্ষণিক যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই তিনদিনকে বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে, বলে জানায় গোয়েন্দা সূত্রটি। এ কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সবগুলো রাষ্ট্র্রীয় সংস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হযেছে। রাজধানী ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনও মূল্যে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় পুলিশ সদর দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব রেঞ্জ ডিআইজি ও কমিশনারদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button