ক্যাপসিকামের উপকারিতা
ডা. তানজিয়া নাহার তিনা: পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক আগে থেকেই ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করা হয়। এর আরেক নাম বেল পিপার। লাল, সবুজ ও হলুদ বর্ণে পাওয়া যায় এই মিষ্টি মরিচ। বর্তমানে আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ক্যাপসিকাম। তাই দেশীয় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষও বাড়ছে আমাদের দেশে। পুষ্টিগুণের বিচারে ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের জুড়ি নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে- ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন ৪.৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ১.৭০ মিলিগ্রাম স্নেহ, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৩৭০ আইইউ ভিটামিন এ।
এছাড়াও রয়েছে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, থায়ামিন ও ফলিক এসিড। খণিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার ইত্যাদি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের রয়েছে নানান স্বাস্থ্যগুণ। যেমন-
ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে সহায়তা করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে স্থূলতা হওয়ার সুযোগ হ্রাস করে। এতে রয়েছে ক্যাপসাইসিনস। যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সাথে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। তাই এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। অ্যালকালয়েড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন এ, সি এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া লাইকোপেন সমৃদ্ধ হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ দূর করে। এছাড়া হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা যেমন-ডিসপেপসিয়া দূর করতে সহায়তা করে এই ক্যাপসিকাম।
লেখক: চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ