ব্রিটেনের বাংলা অনলাইন সংবাদপত্রে প্রথম অ্যাপস ও অ্যাওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা
মানবতা এবং সত্যের পক্ষে অনলাইন গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা রাখতে পারে
ব্রিটেনে বাংলা সংবাদ পত্রের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনলাইন (বাংলা-ইংলিশ) ‘দা সানরাইজ টুডে’। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে আজ অষ্টম বছরে পদার্পণ শুরু করেছে। পথচলার আট বছরের মধ্যে ‘দা সানরাইজ টুডে’ সব সময়েই অনলাইন জগতে ব্যতিক্রমী ধারার সূচনা করার চেষ্টা চালিয়েছে। ‘দা সানরাইজ টুডে’ অনলাইন সংবাদপত্রে এবার নতুন সংযোজন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম (অ্যাপস)। সংবাদ পাঠক তাঁর যে কোনো স্মার্টফোনের অ্যাপস স্টোরে গিয়ে ‘দা সানরাইজ টুডে’ এর অ্যাপস বিনামূল্যে ডাউনলোড করে সহজেই সংবাদ পাঠ করার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে সংবাদ লিংক পাবেন। বাংলা অনলাইন সংবাদপত্রে ‘দা সানরাইজ টুডে-র এ ব্যতিক্রমী যাত্রা নিঃসন্দেহে ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্র জগতের জন্য নব জাগরণ।
বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারী পূর্ব লন্ডনের এলবি টুয়েন্টি ফোর টিভি ষ্টুডিও হলে ‘দা সানরাইজ টুডে-এর অষ্টম বছরে পদার্পন, ব্রিটেনে বাংলা মিডিয়ার চারজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও আইটি স্পেশালিস্টকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং অনলাইন আপ্লিকেশন সিস্টেম (অ্যাপস) ওপেনিং উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, অনলাইন সংবাদপত্র এখন সর্বাধিক জনপ্রিয়। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন ব্যবহার কারীরা অনলাইনে সহজে সংবাদ পড়তে পারেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতোই সেটা মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বক্তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনার মাধ্যমে অনলাইন সংবাদপত্রকে মানুষের আস্থার গণমাধ্যমে পরিণত করতে এর সাথে সংশ্লিষদের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের বাংলা মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক, লেখক, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, এলবি টুয়েন্টি ফোর টিভি (অনলাইন)-এর ফাউন্ডার এন্ড সিইও শাহ ইউসুফ, চ্যানেল-এস এর সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের এবং ক্রিয়েটিভ আইটি স্পেশালিস্ট ও লন্ডন ভিত্তিক আইটি সেবা প্রতিষ্ঠান সাইন সফট লিমিটেড এর ফাউন্ডার নোমান আহমদকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
‘দা সানরাইজ টুডে’র চেয়ারম্যান ওয়াজিদ হাসান সেলিমের সভাপতিত্বে, সম্পাদক এনাম চৌধুরী ও উপস্থাপক আদনান পাবেল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটিশ কারী অ্যাওয়ার্ড এর ফাউন্ডার-এনাম আলী এমবিই, লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর আব্দুল বারী এমবিই, বিশিষ্ট সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহবুব রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইমাম আজমল মসরুর, প্রখ্যাত আইটি স্পেশালিষ্ট গলেন্ডার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাদিক ইমাম, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর শাহগীর বখত ফারুক, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র ডাইরেক্টর সাইদুর রহমান রেনু, আই অন টিভি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ইউরো-বাংলার সাবেক এডিটর আব্দুল মুনিম জাহেদী কেরল, লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি ও চ্যানেল এস এর চিফ-রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক নজরুল ইসলাম বাসন, সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক কবি আহমেদ ময়েজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস সম্পাদক ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ফর বাংলাদেশিস ইন ইউকে’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসাইন, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ, টাওয়ারহ্যামলেটস এর কাউন্সিলর রাবিনা খান, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলর আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই, নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর আয়েশা চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন এর সাবেক সেক্রেটারী এম এ মুনিম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব একাউন্টেন্ট মাহবুব মুর্শেদ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স সেক্রেটারী একাউন্টেন্ট আবুল হায়াত নুরুজ্জামান, প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর আদর্শ উপজেলা সমিতির সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাসুদ আহমেদ, এলবি টুয়েন্টি ফোর টিভির চেয়ারম্যান শাহ ইউসুফ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিজানুর রহমান, সাংবাদিক আব্দুল কাদির মুরাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা শামসাদুর রহমান রাহীন, এনটিভির উপস্থাপক এটা উল্লাহ ফারুক, ওয়ান বাংলার সম্পাদক জাকির হোসেন কয়েস, জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব উর্মি মাজহার, সাংবাদিক মিসবাহ জামাল, সাংবাদিক কবি শাহনাজ সুলতানা, বিশেষ প্রতিনিধি আলাউর রহমান খান শাহীন, সিনিয়র রিপোর্টার ফয়সল মাহমুদ, এনটিভির উপস্থাপক আতাউল্লাহ ফারুক ও ফিল্ম মেকার মিনহাজ খান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস-এর ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল, শেফ অনলাইন এন্ড আরতার সিইও মোহাম্মদ মুনিম (ছালিক), সাপ্তাহিক সুরমার বার্তা সম্পাদক কবি কাইয়ুম আব্দুল্লাহ, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাক বাবুল, ইউকে বিডি টাইমস এর সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, সাংবাদিক পলি ইসলাম, আইনজীবী সলিসিটর নাবিলা রফিক, এনটিভির হেড অব নিউজ রাজীব হাসান, চ্যানেল এস এর সিনিয়র ক্যামেরা পার্সন রেজাউল করিম মৃধা, চ্যানেল আই এর রিপোর্টার আব্দুর রশিদ ‘দা সানরাইজ টুডে’র স্পেশাল কন্ট্রিবিউটর রোমান বখত চৌধুরী, সিনিয়র রিপোর্টার হাসনাত চৌধুরী, সিনিয়র রিপোর্টার আব্দাল হোসাইন, এলবি টুয়েন্টিফোর টিভি’র সিনিয়র রিপোর্টার জুবায়ের আহমদ, জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, সেক্রেটারী আনসার আহমেদ, টিভি প্রেজেন্টার মেঘনা উদ্দীন, কবি হাফসা ইসলাম, লন্ড অলিম্পিক ২০১২ এর এম্বাসেডর এম এফ এ জামান, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ফজলু মিয়া ও শোয়াইবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্রের প্রশংসা করে বলেন, কমিউনিটি মানুষকে তাদের অধিকার সচেতন করতে বাংলা সংবাদপত্র শতবছর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের সাথে অনলাইন সংবাদপত্র এখন ব্যাপক জনপ্রিয়। মানুষ কাগজ হাতে নিয়ে পড়ার চেয়ে পকেটে রাখা মোবাইল ফোনে সংবাদ পাঠ করতে বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করে। তাই পাঠকের এ পছন্দের বিষয়টি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো তাদের পত্রিকা, টেলিভিশন কিংবা ম্যাগাজিনকে এখন অনলাইন অ্যাপলিকেশন সিস্টেম (অ্যাপস) এ নিয়ে আসছেন। অ্যাপসের ব্যবহার করে সংবাদপত্র পাঠকরা খুব সহজে সংবাদ যেমন পড়তে পারেন তেমনি টেলিভিশন ও অনলাইন দেখতে পারেন।
বক্তারা ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্রে প্রথম অ্যাপলিকেশন সিস্টেম (অ্যাপস) ‘দা সানরাইজ টুডে’ চালু করাকে একটি সাহসী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ উল্লেখ করে বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’ তার নামেই নয়, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা সমাজ, দেশ জাতিকে কিছু দেয়ার চেষ্টা করছে।
বক্তারা ‘দা সানরাইজ টুডে’র সংবাদ প্রকাশের প্রশংসা করে বলেন, সংবাদের বৈচিত্র, নতুনত্বের ব্যবহার ব্রিটেনের বাংলা সংবাদমাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় এবং সমৃদ্ধ করবে এটা আমাদের বিশ্বাস।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (সিজিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাশ পাশা বলেন, গণমাধ্যম এখন যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে তেমনি প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্র নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও শত বছর পেরিয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল অর্জন।
প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, একদিন যে পত্রিকা হাতে লিখে, টাইপ রাইটারে টাইপ করে প্রকাশ হতো সেই সংবাদপত্র এখন শুধু আধুনিকই নয়, সেটা এখন অনলাইন ভার্সন শেষ করে আপস সিস্টেম এ চলে গেছে। এটি অনেক বড় একটি অর্জন। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র প্রশংসা করে বলেন, সংবাদে বৈচিত্র এবং নতুনত্ব এনে ‘দা সানরাইজ টুডে’ এখন আধুনিক সংস্করণ দেখাচ্ছে।
প্রেসক্লাব সভাপতি ‘দা সানরাইজ টুডে’ তাকে এ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আমাকে সম্মান জানিয়েছে তবে নিজের পরিবার সংবাদ মাধ্যম থেকে এরকম অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির ভাল লাগাটাই আলাদা। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক-মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদ সংবাদ মাধ্যম এখন অভাবনীয় জনপ্রিয়। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইন ভার্সনগুলো প্রতিমুহুর্ত নতুন কিছু করার প্রয়াস চালাচ্ছে। তবে অনলাইন সংবাদপত্র এখন এতো দ্রুত সংবাদ পরিবেশন করছে যা বলা যায় রীতিমত ঝড়ো গতিতে। সংবাদ শুধু অনলাইনেই দিচ্ছেনা পাশাপাশি সেই সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করছে। তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের এই যে বিপ্লবিক উত্তান সেটার এখন আমাদের প্রয়োজন। কারণ বিশ্ব প্রতিযোগীতায় এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় সংবাদ মাধ্যম যেমন মিথ্যার চড়াচড়ি হচ্ছে তেমনি সত্য প্রকাশে একদন সাহসী সংবাদকর্মী ও কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চাই সংবাদ মাধ্যমে সমাজের অসংগতি তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের প্রতিভাগুলোর পরিচয় যেন তুলে ধরা হয়। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র অগ্রযাত্রার শুভ কামনা করে বলেন, ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্রে প্রথম অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম (অ্যাপস) চালু করে ‘দা সানরাইজ টুডে’ ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলো।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটিশ কারী অ্যাওয়ার্ড এর ফাউন্ডার-এনাম আলী এমবিই বলেন, সংবাদ মাধ্যম এখন কতটুকু এগিয়েছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে এর প্রমাণ ‘দা সানরাইজ টুডে’। একটি অনলাইন পত্রিকা নীরবে নিভৃত্তে ৭টি বছর পেরিয়ে গেছে এটি শুধু গৌরবেরই নয় এটি তাদের ভিত্তিকে মজবুত করার একটি মোখ্য সময় হিসেবে তারা কাজে লাগিয়েছে। তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই মতই জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারে যেভাবে তরুণদের একটি বড় অংশ ঝুকছে সেভাবে অনলাইন সংবাদপত্রের পাঠকের সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, অনলাইন সংবাদ যেন বস্তুনিষ্ঠ হয় সেটা সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষাবিদ ডক্টর আব্দুল বারী এমবিই বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’র অগ্রযাত্রা একটি সাহসী পদক্ষেপ। ব্রিটেনের ব্যয়বহুল ব্যস্ত জীবনে একজন সাংবাদিকের সংবাদপত্র নিয়ে সময় ব্যয় করা অনেক সাংবাদিকের সংবাদপত্র নিয়ে সময় ব্যয় করা অনেক বড় একটি বিষয়। ‘দা সানরাইজ টুডে’ ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্রে অ্যাপস সিস্টেম চালু করে গণমাধ্যমকে শুধু সমৃদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়নি, সংবাদ মাধ্যমের শত বছরের ইতিহাসে একটি স্থান করে নিয়েছে। তিনি বর্তমান সংবাদপত্রের অবস্থা উল্লেখ করে বলেন, প্রিন্টেড পত্রিকাগুলো বন্ধ হচ্ছে, কারণ পকেটের অর্থ ব্যয় করে পত্রিকা ছাপানোর সাধ্য সংবাদিকের নেই। অথচ যারা ব্যবসায় সফল, বিত্তবান তাদের হাতে রয়েছে কিন্তু সংবাদপত্রের সেবায় তাদের অনেকেই এগিয়ে আসছেন না।
চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেন, সংবাদপত্র জাতির বিবেকের আয়না তখনই হয় যখন সমাজ, দেশ, জাতির আত্মিক, মানবিক এবং নৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। আর সাংবাদিক তখনই জাতির বিবেক হতে পারেন যখন তিনি ভয়কে উপেক্ষা করে বিত্ত এবং চিত্তের মোহ থেকে বেরিয়ে এসে সমাজের অসংগতিগুলো সমাজ, দেশ ও জাতির সামনে নির্ভয়ে তুলে ধরতে পারেন। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র ৭বছর পূর্তিতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’ ব্রিটেনে বাংলা মিডিয়ার জগতে নতুন ধারা সূচনা করে সবার সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিল’র ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া বলেন, মানবতার পক্ষে সংবাদপত্র আপোষহীন ভূমিকা রাখছে বলেই এখন মানুষ তার অধিকার নিয়ে গণতন্ত্রহীনদের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারছে। ‘দা সানরাইজ টুডে’ সব সময় সত্য ও মানবতার পক্ষে। কোন দল বা মতের পক্ষে তারা কখনো লেজুড়ভিত্তি করে না এবং সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের প্রত্যেকটি রিপোর্টে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, সংবাদমাধ্যম এখন কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। দেখা যায়, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম বলা হলে ও মূলত সরকার অথবা কোন ব্যক্তি গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠে অনেক গণমাধ্যম। আর সে কারনেই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষ সংবাদ প্রকাশের পর সেটি সত্য না মিথ্যা দ্বিধাদ্বন্ধে পড়ে যায়। তিনি বলেন কোন সরকার, দল, গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তির স্বার্থে সংবাদপত্র নয়। সংবাদপত্র গণমানুষের স্বার্থে। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’ ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্র জগতে যে নতুন ধারার সূচনা করেছে সেটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইমাম আজমল মসরুর বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’ ডটকম নামে ভিন্নতা রয়েছে তেমনি সংবাদ পরিবেশনে ও ভিন্নতা আছে। আমার প্রত্যাশা পাঠকের চাহিদা পূরণে ‘দা সানরাইজ টুডে’ সংবাদ পরিবেশনে আরো নতুনত্ব নিয়ে আসবে। তিনি ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্রে প্রথম ডিজিটালাইজট সিস্টেম অ্যাপস চালু করে ‘দা সানরাইজ টুডে’ পাঠকের আরো কাছে পৌছে গেলো উল্লেখ করেন বলেন, সংবাদে বস্তুনিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারলে সেই সংবাদপত্র পাঠকের গ্রহণ যোগ্যতা পাবেই।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর শাহগীর বখত ফারুক, বলেন, ‘দা সানরাইজ টুডে’র অগ্রযাত্রা ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্র জগতের একটি সুখবর। নিভৃতে যাত্রা শুরু করে এ সংবাদ মাধ্যমটি এখন বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। যার প্রমাণ আজকের এ উপস্থিতি। তিনি বলেন, মানুষ এখন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের দিকে ঝুকছে, আর সে কারনে আমার প্রত্যাশা থাকবে ‘দা সানরাইজ টুডে’ যেন সত্য প্রকাশে সব সময়ই রাইজিং থাকে।
প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্র গত একশো বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বাংলা সংবাদপত্রের যে উন্নতি সাধিত সেটা নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক বড় অর্জন। তিনি সংবাদপত্রের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, অর্থনৈতিক কারনে সাংবাদিকরা প্রিন্টেড পত্রিকা প্রকাশ করতে না পারলেও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে পত্রিকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র উন্নতি কামনা করেন।
‘দা সানরাইজ টুডে’র চেয়ারম্যান ওয়াজিদ হাসান সেলিম বলেন, নতুন প্রজন্মকে ভালো কিছু দেয়া এবং কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সানরাইজ করেছিলাম, আজ বুঝতে পারছি আমার চেষ্টা কাজে লেগেছে। আমি প্রত্যাশা করবো-আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা আছে তাদেরকে এমন কিছু করার সুযোগ দিতে হবে যাতে তারা বিপদগামী না হয়। তিনি আগামী দিনের পথচলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।
‘দা সানরাইজ টুডে’র সম্পাদক এনাম চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা স্বাধীন না থাকলে সংবাদপত্রে জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হয় না। সাংবাদিকদের আইন দিয়ে, পুলিশ দিয়ে কিংবা হুমকী দিয়ে যেখানে থামানোর চেষ্টা করা হয় সেখানে আইনের শাসন থাকে না। গণতন্ত্রের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ এবং আধুনিকভাবে চর্চা করতে হলে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি ‘দা সানরাইজ টুডে’র ভবিষ্যৎ পথ চলা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে আরো শানিত করবে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে এলবি টুয়েন্টিফোর টিভি’র পক্ষ থেকে সানরাইজ পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিনিয়র রিপোর্টার জুবায়ের আহমেদ। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি লাইভ প্রচার করে অনলাইন টেলিভশন চ্যানেল এলবি২৪টিভি।
দা সানরাইজ টুডে’র অষ্টম বছরে পদার্পন ও এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান-২০১৮ ফেসবুক ফটো এ্যালবাম