পার্লামেন্ট বাতিল করে তত্বাবধায়ক দিন : খালেদা জিয়া
পার্লামেন্ট বাতিল করতে হবে দাবি করে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান পার্লামেন্ট বাতিল করতে হবে। তত্বাবধায়ক দিন নয়তো ক্ষমতা ছাড়ুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের নব্বই ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাকে বলেছিল ‘রং হেডেড’। এখন তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। কারো মাথা মাথা খারাপ হলে চিকিৎসা প্রয়োজন। আমরা তার শুভাকাঙ্খী, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করছি।
রোববার বিকেলে নরসিংদীর জনসভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তার বক্তব্য শুরু হয়। আজীবন ক্ষমতায় থাকতেই আওয়ামীলীগ সংবিধান সংশোধন করছে উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামীলীগ শুধু সংবিধানের দোহাই দেয়। দেশের সংবিধানে তত্ত্ববধায়কের বিধান বহাল ছিলো। আওয়ামীলীগই তা বাতিল করেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন। তারা ক্ষমতায় এসে কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে দিলেন।
তিনি বলেন, “সরকার ক্ষমতায় বহাল থেকে নির্বাচন করতে চায়। এ ধরনের নির্বাচন কোনোদিন নিরপেক্ষ হতে পারে না। এ ধরনের নির্বাচন আমরা হতে দেবো না। আমরা কোনো অন্যায় দাবি করছি না। আমাদের ন্যায্য দাবি করছি। তা মানতে হবে। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে জানতে চান ১৮ দলের এই দাবি যৌক্তিক কিনা। এ সময় সবাই হাত হাত নেড়ে তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এদেশে আর কোনোদিন বাকশাল কায়েম করতে দেয়া হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এখনো নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও মত দেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে কোনো উন্নতি করেনি এই সরকার। দেশের সম্পদ এমপি-মন্ত্রীদের পকেটে চলে গেছে। বিরোধী দলীয় নেতা নরসিংদীবাসীকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন।