বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মুক্ত গণমাধ্যম চায় ব্রিটেন
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন উন্মুক্ত গণমাধ্যম এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বরিস জনসন বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রসংশনীয়।
রোহিঙ্গারা মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবে ব্রিটেন।
প্রায় ১০ বছর পর ব্রিটিশ কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় আগমন। শুক্রবার ঢাকায় এসে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। আলাপ হয় রোহিঙ্গা, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন ও সাফল্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বরিস জনসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেরি হলে এই ইস্যু হয়ত জটিল হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য ‘বোঝা’। মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বরিস বলেন, আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রয়োজন।
এদিকে বাংলাদেশে ব্রিটেনের কার্গো অবরোধ সম্পর্কে বলেন, এ অবরোধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।