ভারপ্রাপ্ত আইজি’র বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ৫১ জন আলেম ও মুফতীর যৌথ বিবৃতি
দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫১ জন আলেম ও মুফতীগণ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফীর আহ্বানে ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরের গণজমায়েতে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিতি হয়েছিল। তাতে আমরাও সেখানে আমাদের হাজার হাজার ভক্তবৃন্দসহ সরে জমিনে হাজির ছিলাম। হেফাজতে ইসলাম এর নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ঐ দিন সামান্যতম কোনো তা-ব ঘটায়নি। সরকার ও সরকারি ছত্রছায়ায় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ শাহবাগী চক্র হেফাজতে ইসলামের শান্তিপ্রিয় কর্মী-সমর্থকদের ওপরে অতর্কিত আক্রমণ করে ইতিহাসের নির্লজ্জতম তা-ব ঘটিয়েছে। কোনো একজন নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সরকার পতন ও সরকারকে কোনো অবস্থায় বেকায়দায় ফেলানোর সামান্যতম উদ্দেশ্য কারো অন্তরে ছিল না। ১৩ দফা ইমানী দাবি বর্তমান নির্বাচিত গণতন্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। ঢাকা অবরোধ, শাপলা চত্বরে গণজামায়েত ও অবস্থান এই দাবি আদায়ের একটি কৌশল মাত্র।
গতকাল শনিবার দেয়া বিবৃতিতে আলেমগণ আরও বলেন, শেষ রাত্রে নুজুলে রহমতের সময় শাপলা চত্বরের লাখ লাখ মানুষ নামায, যিকির ও মোনাজাতরত অবস্থায় একমাত্র আল্লাহর দিকে রুজু হয়েছিল। এমতাবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে তা-ব চালানো হয়েছিল তা মনে হলে এখনোও গা শিহরিয়ে ওঠে। এক কথায় বলা যায় শাপলা চত্বরে ঐ দিন ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় কারবালা সংঘটিত হেয়েছিল। এ অবস্থায় আল্লামা আহমদ শফী ও হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক মহল ধর্য্যরে পরিচয় দিয়ে দেশবাসিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও ইসলামপ্রিয় জনতা আল্লামা আহমদ শফীর কমান্ড সর্বান্তকরণে মেনে আসছে এবং সামনেও মানতে প্রস্তুত। শাপলা চত্বরের এই বর্বরোচিত আক্রমণে এত অধিক সংখ্যক আহত-নিহত হওয়ার পরও কারো মনোবল সামান্যতম কমে নাই। বরং সরকার ও সরকারি মহলের মিথ্যাচারের কারণে প্রত্যেকের অন্তরে অগ্নিশিখা ধাউ ধাউ করে জ্বলতেছে। গোটা দেশ আল্লামা আহমদ শফীর নির্দেশের অপেক্ষায় অপেক্ষমান। তিনি আহ্বান করলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা অচল করে দেয়ার যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেশবাসী প্রস্তুত।
মুফতীগণ বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি নির্ধারক মহল থেকে যে ধরনের মিথ্যাচার প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারই ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত আই জি একে এম শহিদুল হকের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। আমরা বলবো শহিদুল হক সাহেব আপনি প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক। আপনার দ্বারা এহেন বক্তব্য দেশবাসী কক্ষণও আশা করে না। অতএব আপনি কাল বিলম্ব না করে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় আপনার দীর্ঘ চাকরি জীবনের সুনাম-সুখ্যাতি ও অর্জন সমূলে বিনাশ হয়ে যাবে।
ওলামা ও মুফতীগণ বলেন, আল্লামা মুফতী ওক্বাস শুধু মাত্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নয়, তিনি উচ্চ পর্যায়ের খ্যাতিমান একজন আলেমে দ্বীন, শাইখুল হাদীস ও পীরে কামেল। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করে রিমা-ে নেয়ার যে পাঁয়তারা চলছে। তা এ দেশবাসী কখনও বরদাশত করবে না। অনতি বিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য তারা জোর আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতা আলেমগণ হলেন মাওলানা মুফতী রেজাউল করীম, মুফতী রফীকুল ইসলাম, মুফতী শামসুল আলম, মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা গাজী আতাউল্লাহ্, মাওলানা মুফতী নুরুল হক কাসেমী, মাওলানা মুফতী শহিদুল ইসলাম, হাফেয কবীর আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন রহমানী, মাওলানা এহতেশামুল হক, মাওলানা মুফতী মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা মুফতী আবদুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মুফতী আবদুর রহীম কাসেমী, মাওলানা আকীল মাহমুদ, হাফেয মুহসীনুল হাসান, মাওলানা আবদুর রহমান জালালাবাদী, মাওলানা শফিক উদ্দীন নুরুী, মাওলানা মুফতী আবদুর নূর, মাওলানা মুফতী নুরুল্লাহ কাসেমী, শাইখুল হাদীস মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা শেখ হেলাল উদ্দীন, মাওলানা মুফতী রফিকুর রহমান, মাওলানা মুফতী এমরান, মাওলানা ফারুক হোসাইন, মাওলানা মুফতী হারূন, মাওলানা আবদুল করীম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা তাফাজ্জুল হোসাইন, মাওলানা শোআইব, মাওলানা মুফতী ওমায়ের কোব্বাদী, মাওলানা জহির উদ্দীন, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ্, মাওলানা এহসান উল্লাহ্, মাওলানা শেখ মহিউদ্দীন, মাওলানা মুফতী নুরুন্নবী, হাফেজ জিন্নাত আলী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মাওলানা মুফতী তাজুল ইসলাম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ্, মাওলানা আবদুর রকীব কাসেমী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্, মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা মোফাজ্জাল হোসাইন, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ, মাওলানা: আবু দাউদ, মাওলানা ফয়সাল মাহমূদ, মাওলানা জামিল আহমদ, মাওলানা আশরাফ আলী।