উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সু চি’র সাথে সাক্ষাতে বরিস জনসন
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের আহবান
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে সু চির প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল রোববার দেশটির রাজধানী নেইপিদোতে সু চির সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শনিবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন তিনি।
বিবিসির রিতা চক্রবর্তী বলেছেন, মিয়ানমারে সু চির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দু’জনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। এসময় তারা দু’জনই হ্যান্ডশেক করেন। তবে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি কঠিন হবে। ব্রিটিশ এই পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে রাখাইনে নেয়া হবে; যেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়েছে। এছাড়া রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের চেয়ারম্যান সুরাকিয়ার্ট সাথিরাথির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বরিস জনসন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ জীবন-যাপন পরিস্থিতি সঙ্কটের শক্তিশালী সমাধান খুঁজে বের করতে তাকে সহায়তা করবে। অপরদিকে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, ওই আলোচনা হয়েছে উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে। তবে ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
বৈঠকের আগে বরিস জনসন বলেছিলেন, তিনি রাখাইনের মানুষের দুর্ভোগের ইতি টানার জন্য মিয়ানমারকে চাপ দেবেন। রাখাইন থেকে যেসব মানুষ পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী হয়েছে তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য চাপ দেবেন। রাখাইনের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক তীব্র চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। এতে আন্তর্জাতিক মহলে সু চি’র জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে পৌঁছেছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে বরিস জনসন তার সঙ্গে সাক্ষাত করলেন। তিনি বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, পরিস্থিতি ঠিক হওয়া সাপেক্ষে আন্তর্জাতিক তত্ত¡বাবধানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন অবশ্যই স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে হতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে দুই দেশ ঐক্যমতে পৌঁছেছে। প্রতি সপ্তাহে মাত্র দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার এ সংখ্যাকে নগণ্য উল্লেখ্য করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদিকে, রাখাইনে ফেরার পর সেখানে নিজেদের অধিকার ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে রোহিঙ্গারাও। -বিবিসি